ঢাকা: আইনজীবী তালিকাভুক্তির এনরোলমেন্ট (এমসিকিউ ও লিখিত) এবং হাইকোর্ট পারমিশন লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরীক্ষার্থীবান্ধব করতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আবেদন জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ আবেদন জানান।
আবেদনে বিগত বছরগুলোতে এনরোলমেন্ট ও হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষার অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু অসুবিধা তুলে ধরে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর এক বা একাধিক এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এসব পরীক্ষাকেন্দ্রের কোনটিতে এনালগ হাতঘড়ি, টর্চলাইট নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় আবার কোনটিতে দেওয়া হয় না, যা একপ্রকার বৈষম্যমূলক। বিগত বছরে ঝড়-বৃষ্টির দিনে পরীক্ষাকেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের (লোডশেডিং) ঘটনা ঘটে। এতে করে শিক্ষানবীশরা উপযুক্ত পরীক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হন। বিদ্যুৎ না থাকা মিনিটগুলো পরবর্তীতে পরীক্ষকরা বিবেচনায় নেন না।
‘এতদসত্ত্বেও অনেক কেন্দ্রের প্রবেশমুখে পরীক্ষার্থীদের এনালগ হাতঘড়ি ও টর্চলাইট সঙ্গে রাখা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এছাড়াও, অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রের বেঞ্চগুলো ভাজ (কার্ভ) আকারের হওয়ায় সেখানে লিগ্যাল সাইজের খাতা (এনরোলমেন্ট ও হাইকোর্ট পারমিশনের লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে) বসিয়ে নির্ধারিত সময়ে লেখা শেষ করা দুরুহ হয়ে যায়। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হয়। ’
তাই ওই আবেদনে বিগত সময়ের প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায়, পরীক্ষার্থীদের এনালগ হাতঘড়ি, টর্চলাইট সঙ্গে রাখার সুযোগ দিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেঞ্চগুলো লিগ্যাল খাতায় লেখার উপযুক্ত কি না, সে বিষয়ে তদারকি করতে আবেদনটিতে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
ইএস/এমজেএফ