ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নির্বাচনে পৌনে ৪ লাখ সেনা মোতায়েন করবে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৮, জুলাই ২৪, ২০১৮
নির্বাচনে পৌনে ৪ লাখ সেনা মোতায়েন করবে পাকিস্তান ফাইল ফটো

জাতীয় নির্বাচনের দিন প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন করবে পাকিস্তান। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের ইতিহাসে নির্বাচন উপলক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় সেনা মোতায়েন।

বুধবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। দেশটির প্রায় ৮৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ।

এসব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৪ সেনা নামানো হবে। ব্যালট বাক্স ও ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম পরিবহনে সশস্র সেনারা কাজ করবেন।  

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশটি জুড়ে ইতোমধ্যেই সেনা মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা একত্রে কাজ করবে।

নির্বাচনের দিন দেশটির মেইনস্ট্রিম রাজনৈতিক দলগুলোর বেশ কয়েকজন প্রার্থী সন্ত্রাসী হামলার হুমকিতে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনী। ইতোমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণার সময় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৩ জুলাই বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫১ জন নিহত হওয়ার ঘটনা এরমধ্যে অন্যতম।
করাচিতে নির্বাচনী প্রচারণামূলক পোস্টার।  ছবি: সংগৃহীত
এদিকে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচিত হয়েছে ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান (ইসিপি)।  

তবে সেনা প্রধান কামার বাজওয়া বলেছেন, নির্বাচনের দিন সেনাসদস্যরা ইলেকশন কমিশনের সব নিয়মনীতি মেনে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে ছিল। ৭০ বছরের মধ্যে ৩৬ বছরই দেশটি শাসন করেছে সামরিক জেনারেলরা। দেশ রক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।