ঢাকা, শনিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল কি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কোণঠাসা হবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
ইসরায়েল কি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কোণঠাসা হবে? বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় প্রায় দুই বছর ধরে একতরফা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতার দিকে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বয়কটের সম্মিলিত চাপ প্রিটোরিয়াকে বর্ণবাদ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।

অথবা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কি গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর নিয়ে তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন, আবার একইসঙ্গে দেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা অটুট রাখতেও সক্ষম হবেন?

দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও এহুদ ওলমার্ট কিন্তু এরইমধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্পৃশ্য করে তোলার অভিযোগ তুলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন এমন দেশের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পক্ষে জারি করা পরোয়ানা।

জাতিসংঘে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটা দেশ এরইমধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

উপসাগরীয় দেশগুলো গত মঙ্গলবার কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানায়। এই দেশগুলো একত্রিত হয়ে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানাতে দোহায় বৈঠকও করছে। যে দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে তাদের আরও একবার ভেবে দেখার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।

গ্রীষ্মে গাজায় অনাহারের চিত্র প্রকাশ্যে আসা, গাজা সিটি আক্রমণ এবং সেখানে সম্ভাব্য ধ্বংসের জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির মতো একাধিক কারণে আরও বেশি সংখ্যক ইউরোপীয় সরকার (ইসরায়েলের প্রতি) অসন্তোষ প্রকাশ করছে। নিছক বিবৃতির দিয়েই এসব দেশ থেমে থাকেনি

শুধু তাই নয়, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার স্বীকার করেছেন, ইসরায়েল বিশ্ব মঞ্চে এক ধরনের অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হচ্ছে। জেরুজালেমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিচ্ছিন্নতার জন্য তিনি বিদেশে ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণাকে দায়ী করেন।

ইসরায়েলের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দেশটির প্রথাগত মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে, এমন মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মাসের শুরুতে বেলজিয়াম পশ্চিম তীরের অবৈধ ইহুদি বসতি থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। ইসরায়েলি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কেনাকাটার নীতি পর্যালোচনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একই সঙ্গে, ওই অঞ্চলে বসবাসরত বেলজিয়ানদের কনস্যুলার সহায়তায়ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বেলজিয়াম অভিযোগ করেছে, পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের দুই কট্টরপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেও ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলো এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।

গত বছর বাইডেন প্রশাসনও সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার প্রথম দিনেই তা প্রত্যাহার করা হয়।

বেলজিয়ামের ঘোষণার এক সপ্তাহ পর স্পেনও পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ডি-ফ্যাক্টো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাকে আইনে রূপান্তর করেছে এবং আমদানির ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।  

গাজায় গণহত্যা বা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িতদের স্পেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ইসরায়েলগামী অস্ত্রবাহী জাহাজ ও বিমানের স্প্যানিশ বন্দরে নোঙর এবং আকাশসীমায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ইহুদি-বিরোধী নীতি প্রাধান্য দিচ্ছে, অথচ অস্ত্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে ইসরায়েলের চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে স্পেনের।  

ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ

আগস্ট মাসে দুই ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের নরওয়েজিয়ান তহবিল ঘোষণা করে, তাদের তালিকায় থাকা ইসরায়েল-ভিত্তিক সংস্থাগুলোকে সরানো হবে। সেই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ২৩টি কোম্পানি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এবং অর্থমন্ত্রী জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছিলেন, তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে।

এ ছাড়া, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডানপন্থি মন্ত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি স্থগিতের পরিকল্পনা করছে। ১০ সেপ্টেম্বর ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছিলেন, গাজার ঘটনাগুলো বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে।  

পরের দিন ৩১৪ জন সাবেক ইউরোপীয় কূটনীতিক ও কর্মকর্তা উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কালাসকে চিঠি লিখে অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্থগিতসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানান।

কেন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তুলনা

এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্ষমতাসীন শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গদের বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বয়কটের প্রথা চালু করা হয়েছিল।

ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা এই প্রসঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে না হলেও এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে ইসরায়েলের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৩ সাল থেকে চারবার এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে ওই দেশ। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ইহুদি জাতির আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক।  

তবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং স্লোভেনিয়ার মতো দেশ হয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে বা ইঙ্গিত দিয়েছে যে যদি ইসরায়েলকে ২০২৬ সালের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তবে তারা প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসবে। এই প্রসঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ডিসেম্বর মাসে।

বয়কটের আবেদন

হলিউডে একটি চিঠিতে ইসরায়েলি প্রযোজনা সংস্থা, ফিল্ম ফেস্টিভাল এবং সম্প্রচারকারীদের বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা ও বর্ণবাদের সঙ্গে জড়িত’।

এই আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে চার হাজার সই সংগ্রহ করা হয়। সইকারীদের মধ্যে বিখ্যাত তারকা এমা স্টোন ও হাভিয়ার বারদেমও ছিলেন।

ইসরায়েলি ফিল্ম অ্যান্ড টিভি প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী জুইকা গতলিব এই আবেদনকে ‘সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন,
আমাদের মতো নির্মাতাদের নিশানা করার মাধ্যমে সইকারীরা নিজেদের ন্যারেটিভকেই দুর্বল করেছে। আমাদের চুপ করানোর চেষ্টা করছে।  

ক্রীড়া জগতেও একই চিত্র দেখা গেছে। ভুয়েল্টা দে এস্পানা সাইক্লিং রেস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে ব্যাহত হয়েছে। বিক্ষোভের জেরে শনিবারের প্রতিযোগিতা দ্রুত ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয় এবং পোডিয়াম অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়।  

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই বিক্ষোভকে ‘গর্বের বিষয়’ বলে বর্ণনা করেছেন, তবে বিরোধীদলীয় নেতারা মনে করেন, সরকারের এই কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে বিব্রত করেছে।

এ ছাড়া, স্পেনে সাতজন ইসরায়েলি দাবা খেলোয়াড় প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান, কারণ তাদের বলা হয়েছিল তারা দেশের পতাকা বহন করে খেলতে পারবেন না।

মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিকে ‘কূটনৈতিক সুনামি’ বলা হয়েছে। তবে ইসরায়েল সরকারের অবস্থান দ্বন্দ্বপূর্ণ। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, তাদের দেশে পরমাণু অস্ত্র, বিমানবাহী রণতরী বা বিশাল তেল মজুদ নেই, তাই গাজায় ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।

এই মন্তব্যের পরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পেনের বিরুদ্ধে ‘নির্লজ্জভাবে গণহত্যামূলক হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে, বেলজিয়ামের নিষেধাজ্ঞার পর গিদিওন সার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ইসরায়েল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্তিত্বের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যা ইউরোপের স্বার্থের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবুও কিছু ইহুদি-বিরোধী মানুষ নিজেদের উন্মাদনা ছাড়তে পারছে না।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সোমবার বলেন, আমরা শুধু গবেষণা ও উন্নয়নে নয়, প্রকৃত শিল্প উৎপাদনেও বাধার সম্মুখীন হতে পারি। তাই অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা বিকাশ করতে হবে।

ইসরায়েলের কূটনৈতিক দুর্বলতা

বিদেশে ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা সাবেক কূটনীতিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে। জেরেমি ইসাখারফ ২০১৭–২০২১ পর্যন্ত জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি মনে করেন, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থান এত দুর্বল কখনো হয়নি।  

তার মতে, সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো সব ইসরায়েলিকে লক্ষ্যবিদ্ধ করছে। তিনি বলেন, সরকারের নীতিগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে টার্গেট করার পরিবর্তে এটা অনেক ইসরায়েলিকে বিছিন্ন করে দিচ্ছে।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া স্মোট্রিচ ও বেন গভিরের মতো ব্যক্তিদের শক্তি বাড়াতে পারে। তবু তিনি মনে করেন, কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এখনও অপরিবর্তনীয় নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থায় পৌঁছাইনি, তবে তার পূর্ববর্তী পর্যায়ে আছি।  

বর্ণবাদের অবসানের ১০ বছর পরে বারুচ দক্ষিণ আফ্রিকায় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ওই পদ থেকে ২০১১ সালে ইস্তফা দেন তিনি।

সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি আর ইসরায়েলের দখলদারিত্বমূলক পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলতে পারবেন না। অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি ইসরায়েলের সরকারের কট্টর সমালোচক এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থক।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন

বারুচের ভাষ্য, ইউরোপীয়রা যেভাবে ইসরাইয়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে, তাকে স্বাগত জানানো উচিত। যদি প্রয়োজন হয়, এর মধ্যে ভিসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক বয়কটকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

তবে ক্ষোভের সমস্ত অভিব্যক্তি এবং চাপ তৈরির কথা বললেও কিছু অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষক এই বিষয়ে সন্দিহান যে ইসরায়েল কূটনৈতিক দ্বারপ্রান্তে রয়েছে কি না।

সাবেক ইসরায়েলি পিস নেগোশিয়েটর ড্যানিয়েল লেভি আমাকে বলেছিলেন, স্পেনের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে এমন দেশ ব্যতিক্রম। "

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রচেষ্টা যথেষ্ট সমর্থন পেতে সক্ষম হবে না। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের তালিকায় রয়েছে অ্যাসোসিয়েশন চুক্তির কিছু বিধানগুলো বাতিল করা, ইসরায়েলকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের 'হরাইজন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম' থেকে দূরে রাখা ইত্যাদি। কারণ জার্মানি, ইতালি ও হাঙ্গেরির মতো সদস্য দেশগুলো এই জাতীয় পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

ইসরায়েলের পক্ষে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে। মার্কো রুবিও সরকারি সফরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র "ইসরায়েলের সঙ্গে নিজেদের মজবুত সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে"।

সাবেক পিস নেগোশিয়েটর লেভি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা ইসরায়েলের জন্য অপরিবর্তনীয় নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের কারণে পরিস্থিতি এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছেনি, যা গাজার ঘটনাবলীর দিক পরিবর্তন করতে পারে।  

তিনি বলেন, নেতানিয়াহু রাস্তা ছাড়িয়ে এগিয়েছেন, কিন্তু আমরা এখনও শেষ প্রান্তে পৌঁছাইনি।

বিবিসি অবলম্বনে

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।