ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

রক্ষণশীল অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক গুলিতে নিহত, শোকার্ত ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৯, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫
রক্ষণশীল অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক গুলিতে নিহত, শোকার্ত ট্রাম্প অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন রক্ষণশীল অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন প্রভাবশালী মিত্র ছিলেন।

পাশাপাশি ছিলেন কট্টর ইসরায়েলপন্থি।

স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানস্থলের প্রায় দুইশ’ মিটার দূরে থেকে তাকে গুলি করা হয়। খবর বিবিসির।

ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অ্যালেন ট্রিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, প্রায় ২০০ গজ দূরের একটি ভবন থেকে কার্ককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্স পোস্টে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ, ক্লাস বাতিল। পুলিশ তদন্ত করছে। অবিলম্বে ক্যাম্পাস ত্যাগ করুন। পুলিশের নির্দেশ অনুসরণ করুন।

এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকার্ত এবং ক্ষুব্ধ’ বলে জানান। তিনি এটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।

রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প আরও জানান, তার প্রশাসন ‘এই নৃশংসতা ও অন্যান্য রাজনৈতিক সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন এমন প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে। ’

‘উগ্র বামপন্থী রাজনৈতিক সহিংসতা অনেক নিরীহ মানুষকে আঘাত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল জানিয়েছেন, ঘটনার পর এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  

কার্ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল রক্ষণশীল অ্যাকটিভিস্ট এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের একজন। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বস্ত সহযোগী।

২০১২ সালে ১৮ বছর বয়সে কার্ক ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থী কলেজগুলোতে ‘রক্ষণশীল আদর্শ’ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে।

ইসরায়েলের আগ্রাসননীতির ঘোর সমর্থক ছিলেন কার্ক
কার্ক ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান হলেও তিনি প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের পক্ষে অ্যাক্টিভিজম করতেন। প্রায়ই কলেজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক করতেন তিনি, যেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসননীতির পক্ষে তার অবস্থান প্রকাশ পেত।

কার্ক নিজেও ইসরায়েল সফর করেছেন এবং ট্রাম্পের ইহুদি রাষ্ট্র সম্পর্কিত নীতিগুলো—যেমন ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রশংসা করেছেন। জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস স্থানান্তরকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রের স্বপ্নে আঘাত বলে অনেকে মনে করেন। কারণ ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে ধরে থাকে।

২০১৯ সালে ইসরায়েল সফরকালে জেরুজালেমের একটি বারে জনতার উদ্দেশে কার্ক বলেছিলেন, ‘আমি খুবই ইসরায়েলপন্থি, আমি একজন ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান, আমি একজন রক্ষণশীল, আমি ট্রাম্প সমর্থক, আমি রিপাবলিকান, আর আমার পুরো জীবন আমি ইসরায়েলকে রক্ষা করেছি। ’

এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।