ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নেপালে আরও এক মন্ত্রীর পদত্যাগ, কংগ্রেস কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২০, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
নেপালে আরও এক মন্ত্রীর পদত্যাগ, কংগ্রেস কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের আগুন

নেপালে তরুণদের বিক্ষোভের মধ্যেই আরও এক মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আগের দিন তরুণদের বিক্ষোভে সরকার দমনপীড়ন চালায়, যাতে ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটে।

প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর সোমবার পদত্যাগ করেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। এর একদিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী।

তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে জানান, সোমবার জেন-জিদের আন্দোলনে সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের কারণেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে নেপালি কংগ্রেসের এই সংসদ সদস্য লিখেছেন, গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার নাগরিকদের স্বাভাবিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে সরকার দমন-পীড়ন, হত্যাকাণ্ড ও বলপ্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে। এতে দেশ গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, একটি প্রজন্মের সঙ্গে মিলে দেশ গড়ার পরিবর্তে সরকার তাদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করেছে— এ প্রশ্নের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় প্রাণঘাতী জেন-জিদের বিক্ষোভের পর সমালোচনার মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এদিকে নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা বলেছেন, জেন-জিদের আন্দোলনে ১৯ জন বিক্ষোভকারীকে অযথা প্রাণ দিতে হয়েছে। এই দমন-পীড়নের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত।

থাপা আরও বলেন, নেপালি কংগ্রেস এ পরিস্থিতির সাক্ষী বা অংশীদার হয়ে একদিনও থাকতে পারে না। তিনি দলীয় বৈঠকে এ দাবি তুলবেন।

নেপালি কংগ্রেসের কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের আগুন

সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেয়। সানেপায় ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তরুণ বিক্ষোভকারীরা।

কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় শুরু হওয়া এ আন্দোলন মঙ্গলবার সকালে সহিংসতায় রূপ নেয়।  

বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও প্রধান দলগুলোর কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছোড়া ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। কাঠমান্ডু ভ্যালি এবং বিভিন্ন জেলায় এখনো পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

কারফিউ অমান্য করে কাঠমান্ডু ভ্যালিতে বিক্ষোভ

সোমবারের দমন-পীড়ন ও প্রাণঘাতী বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার কাঠমান্ডু ভ্যালির নিউ বানেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নামে তরুণরা।
 
সরকারি দমন-পীড়নের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে কালাঙ্কি, চাপাগাঁওসহ ভ্যালির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন তরুণ।

ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।