গাজা সিটির বাসিন্দাদের ফিলিস্তিনের দক্ষিণ দিকে সরে যেতে ‘নির্দেশ’ দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী, দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নির্দিষ্ট একটি উপকূলীয় এলাকায় মানবিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে, যেখানে খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজা সিটির অর্ধেকের বেশি এলাকা এবং গোটা গাজা ভূখণ্ডের প্রায় ৭৫ শতাংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা সিটিকে হামাসের প্রধান ঘাঁটি উল্লেখ করে দখলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ অভিযানে লাখো মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন এবং দুই শতাধিককে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ৪৮ জন এখনো জিম্মি অবস্থায় আছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ অঞ্চলটির অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ইসরায়েলের ভেতরে জিম্মিদের পরিবার ও সমর্থকরা ক্রমশ সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন যুদ্ধ শেষ করে কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের মুক্ত করার জন্য। তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাসের আত্মসমর্পণ এবং সব জিম্মির মুক্তি ছাড়া কোনো সমঝোতায় যাবে না তেল আবিব।
এদিকে, হামাস জানিয়েছে তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাস যদি শর্ত না মানে তবে সামরিক অভিযান আরও কঠোর করা হবে।
এসআরএ/এমজে