ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনাকে ‘রেড লাইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই পদক্ষেপ আব্রাহাম চুক্তির মূল চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও মনে করছে দেশটি।
ওই চুক্তিতেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছিল।
এদিকে ইউএইর এ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। আবুধাবি জানিয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ আব্রাহাম চুক্তির মূলভিত্তিই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই চুক্তিতেই ইসরায়েল ও তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছিল।
২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটিই ইউএইর সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যে তিনটি ইউএ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল, তাদের মধ্যে আমিরাত অন্যতম।
ইউএর একজন দূত রয়টার্সকে জানিয়েছেন,পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ভূ-খণ্ড সংযুক্তিকরণের যেকোনো প্রচেষ্টা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির চেতনাকে পুরোপুরি নষ্ট করবে।
এর আগে গত আগস্টে ইসরায়েলি অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ঘোষণা দিয়েছেন, দীর্ঘদিনের বিলম্বিত পশ্চিম তীর সংযুক্তির পরিকল্পনা এবার বাস্তবায়ন করা হবে। এই পদক্ষেপে পশ্চিম তীর বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণাকে কার্যত ‘কবর’ দেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিম তীরের অংশ দখল ও সংযুক্তির এই উদ্যোগ এমন এমন সময় সামনে এলো, যখন বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে বা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। চলতি মাসেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ধরনের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের এই একতরফা পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির পথ আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
এএটি