ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

৫০০ বছর পর জেগে উঠল রাশিয়ার ‘ঘুমন্ত’ আগ্নেয়গিরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২৯, আগস্ট ৩, ২০২৫
৫০০ বছর পর জেগে উঠল রাশিয়ার ‘ঘুমন্ত’ আগ্নেয়গিরি

রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি আগ্নেয়গিরিতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে গত সপ্তাহে ওই অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্পর্ক থাকতে পারে।

কামচাটকা উপদ্বীপের ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি রাতারাতি ছয় কিলোমিটার (৩ দশমিক ৭ মাইল) উচ্চতা পর্যন্ত ছাইয়ের কুণ্ডলী আকাশে ছুড়ে দেয়। তবে আশেপাশের জনবসতির জন্য কোনো তাৎক্ষণিক হুমকি নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর আবারও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে রাশিয়ায়। ফলে উপদ্বীপের তিনটি এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

গত সপ্তাহে ওই একই এলাকায় আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সঙ্গেও এই দুটি ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই ভূমিকম্পের প্রভাবে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া ও চিলিসহ বহু দূরবর্তী এলাকাতেও সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল।

রাশিয়ার ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছেন, গত বুধবারের ভূমিকম্পের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে শক্তিশালী আফটারশক হতে পারে।  

এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্প, যার ফলে কয়েক মিলিয়ন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

কামচাটকা ভলকানিক ইরাপশন রেসপন্স টিমের প্রধান ওলগা গিরিনা জানান, ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ১৫ শতকে।

তিনি রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএকে বলেন, এবারকার অগ্নুৎপাতের পেছনেও সম্ভবত গত সপ্তাহের ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ভূমিকা রয়েছে।

কামচাটকা উপদ্বীপটি তুলনামূলকভাবে দুর্গম হলেও এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারের অংশ, যেখানে ব্যাপকসংখ্যক ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে থাকে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।