ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ পশ্চিমা বিশ্বে নিজেদের ‘সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী’ হিসেবে প্রচার করে। বাস্তবতা হলো, এই দাবি কেবল প্রচারণা মাত্র, যদি না আপনি সেটাতে বিশ্বাস করেন।
আইডিএফ দাবি করে, যুদ্ধের সময় বেসামরিক মানুষের অধিকারের ব্যাপারে তারা সবচেয়ে বেশি সচেতন। কিন্তু গাজার যুদ্ধাপরাধকে একপাশে রেখে, পশুপ্রেমী, সমকামীবান্ধব বা ধর্মীয় সহনশীলতার যে চিত্র আইডিএফ তুলে ধরার চেষ্টা করে, এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত ইতিহাস অনেক অন্ধকারাচ্ছন্ন। আইডিএফ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা ইতিহাসের একই বয়ানের অন্তর্ভুক্ত।
সেই ইতিহাসের কিছু অংশ ‘আইডিএফের জন্ম ও ফিলিস্তিনের রক্তাক্ত ইতিহাস’ শিরোনামে বাংলানিউজে তুলে ধরা হয়েছে। চার পর্বের ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে, ‘ইরগুন বাহিনী’ গঠন ও বেড়ে ওঠা, ফিলিস্তিনের মহাবিদ্রোহ, শ্বেতপত্র প্রকাশ ও ইহুদি অভিবাসনে বিধিনিষেধ, হিটলারের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা ও লেহি বাহিনী গঠনের বর্ণনা।
ইরগুন বাহিনী গঠন ও বেড়ে ওঠা
ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেনগুরিয়নের সংযমনীতির কারণে এই সময় হাগানাহর (জায়নবাদী সশস্ত্র সংগঠন) মধ্যেও বিভাজন বাড়তে থাকে। একদিকে ছিল বেনগুরিয়নের অনুসারীরা, অন্যদিকে ছিল কট্টরপন্থী জায়নিস্টদের একটি গোষ্ঠী।
এই কট্টরপন্থীরা বিশ্বাস করতো, ব্রিটিশরা ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নে বাধা তৈরি করছে। তারা মনে করতো, একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠন করা উচিত যা শুধু ফিলিস্তিনে নয়, বরং পুরো জর্ডান, লেবাননের কিছু অংশ এবং সিরিয়ার একটি অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
তারা বুঝেছিল, তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে নিজেদেরই দমন করতে হবে। ব্রিটিশ বা এমনকি বেনগুরিয়নের কাছ থেকেও আর কোনো আদেশের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। কারণ বেনগুরিয়নের সংযমনীতি (হাভলাগা) কট্টরপন্থী তরুণ জায়নিস্টদের কিছুতেই সন্তুষ্ট করতে পারছিলো না।
তাই তারা হাগানাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি নতুন আধাসামরিক সংগঠন গঠন করে যার নাম ‘ইরগুন’। ইরগুন-এর নেতৃত্বে ছিল হাগানাহ থেকে আসা একদল কট্টরপন্থী জ্যেষ্ঠ কমান্ডার, যাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন লেখক জেভ জাবোটিনস্কি।
জাবোটিনস্কি ছিলেন কট্টরপন্থী জায়নিজমের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি রাশিয়ান ফেডারেশনে ইহুদি আত্মরক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। পরে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে একটি ইহুদি রেজিমেন্ট গঠন করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনে অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
১৯২৩ সালে তিনি ‘আয়রন ওয়াল’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি বেনগুরিয়ন এবং অন্যান্য মধ্যপন্থী জায়নিস্টদের সঙ্গে তার মৌলিক মতপার্থক্য তুলে ধরেন। তিনি তাদের ‘নিরামিষ’ ও অতিরিক্ত ‘শান্তিকামী’ বলে আখ্যা দেন।
তিনি লেখেন, আমাদের এই শান্তিকামীরা আমাদের বোঝাতে চাইছে যে আরবরাবোকা, যাদের আমরা আমাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য আড়াল করে প্রতারণা করতে পারি; অথবা তারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যাদের ঘুষ দিয়ে ফিলিস্তিনে তাদের অগ্রাধিকারের দাবি ত্যাগ করানো যাবে। আমরা আরবদের আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে যা খুশি বলতে পারি, সেগুলোকে নিরীহ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি, নরম ভাষায় মিশিয়ে মধুর করে উপস্থাপন করতে পারি যেন তারা সহজে মেনে নিতে পারে। কিন্তু তারা জানে আমরা আসলে কী চাই।
জাবোটিনস্কি বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিটি স্থানীয় (ভূমিপুত্র) জনগোষ্ঠী উপনিবেশকারীদের প্রতিরোধ করে এবং তাদের মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হলো এমন একটি ‘লোহার প্রাচীর’ গড়ে তোলা, যা ভেদ করা অসম্ভব।
তার এই চিন্তাধারার ভিত্তিতে নতুন গঠিত মিলিশিয়া (ইরগুন) কয়েক ডজন সদস্য থেকে হাজার সদস্যের গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। তাদের একটি প্রতীক বা চিহ্ন ছিল, যা প্রকাশ করত তাদের আকাঙ্ক্ষা ঐতিহাসিক পুরো ফিলিস্তিন এবং ট্রান্সজর্ডান পর্যন্ত ইহুদি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণ ঘটানো।
প্রথম দিকে তারা হাগানাহ এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে মিলিতভাবে কৌশলগতভাবে লড়াই করত। তবে ১৯৩৬ সালে একটি ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ তাদের নেতৃত্ব বুঝে নেওয়ার দিকে ঠেলে দেয়।
ফিলিস্তিনের মহাবিদ্রোহ
এই সময়টাতে ব্রিটিশশাসিত ফিলিস্তিনে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সরকার সন্দেহ করে যে ‘হায়ার কমিটি’ আরব নেতাদের ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি পবিত্র যুদ্ধ শুরু করতে উসকানি দিয়েছে।
এরপর পুলিশ বাহিনী চড়াও হয়, গুপ্তঘাতক ও বিদ্রোহীদের গোপন ঘাঁটিতে হানা দেয়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই বিদ্রোহটি পরিচিতি পায় ‘ফিলিস্তিনের মহাবিদ্রোহ’ নামে।
এই বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ, জায়নিজমের প্রতি ব্রিটিশদের সমর্থন, সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মহামন্দার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া।
তারা শুধু ব্রিটিশ শাসন উৎখাত করতে চায়নি, চেয়েছিল নিজেদের ভূমিকে ভাগ করার যে কোনো পরিকল্পনারই অবসান ঘটাতে।
এই বিদ্রোহ শুরু হয় একাধিক সাধারণ ধর্মঘটের মাধ্যমে, যা মূলত কৃষকদের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্রোহটি সংগঠিত রূপ নিতে শুরু করে। সশস্ত্র বিদ্রোহীরা প্লাটুন গঠন করে এবং নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে শুরু করে।
কিন্তু তাদের মোকাবিলা করতে হতো দুইটি ব্রিটিশ রেজিমেন্ট, যেখানে ছিল মোটামুটি ২০ হাজার সৈন্য, সেই সঙ্গে ছিল সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত ইহুদি ‘গড ফোর্স’ হাগানাহ এবং ইরগুন বাহিনী। যাদের সম্মিলিত শক্তি ছিল ১০ হাজারের বেশি সশস্ত্র বাহিনী।
সংক্ষেপে বললে, ফিলিস্তিনি বিদ্রোহীরা ছিল সংখ্যায় ও অস্ত্রশক্তিতে উভয় দিক থেকেই অনেক পিছিয়ে।
এই বিদ্রোহ তিন বছর স্থায়ী হয় এবং শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী, হাগানাহ ও ইরগুন প্রায়শই একত্রে যুদ্ধ করে আরব বিদ্রোহ দমন করে, হাজার হাজার আরবকে হত্যা করে এবং গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে দেয়।
ইরগুনের যোদ্ধারা জনবহুল এলাকায় বোমা ও ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখে এবং আরব প্রহরীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে।
শ্বেতপত্র প্রকাশ ও ইহুদি অভিবাসনে বিধিনিষেধ
এমন এক সাংঘর্ষিক প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি যখন ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে এবং ইউরোপে আরেকটি যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়, তখন ব্রিটেন ১৯৩৯ সালে ‘হোয়াইট পেপার’ বা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে।
প্রকাশিত শ্বেতপত্রের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইহুদি অভিবাসনের ওপর কঠোর সীমা আরোপ করা হয় এবং ব্রিটিশ ফিলিস্তিন অঞ্চলে পরবর্তী ৫ বছরে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করতে পারবে বলে নির্ধারণ করা হয়।
এই ঘোষণাটি ছিল জাবোটিনস্কি ও তার অনুসারীদের কাছে চূড়ান্ত ধাক্কা। তারা একে নিয়েছিল বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে।
এটা ছিল তাদের কাছে একটি বড় প্রমাণ যে ফিলিস্তিনে ইহুদি স্বার্থ রক্ষার সর্বোত্তম উপায় হলো আক্রমণাত্মক অবস্থানে যাওয়া এবং এখন তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু আর আরবরা নয়, বরং সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল ব্রিটিশরা। ব্রিটিশদের তারা তখন একটি দখলদার শক্তি হিসেবে দেখতে শুরু করে এবং তাদের উৎখাতের পরিকল্পনা করতে শুরু করে।
এই সময়ে জাবোটিনস্কির ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে ব্রিটিশরা উদ্বিগ্ন ছিল এবং তাকে ইউরোপে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। নির্বাসনে থাকা অবস্থায় তিনি পোল্যান্ডে ছোট ছোট গোপন সেল (দল) গঠন করে সদস্য নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেন, যাদের উদ্দেশ্য ছিল বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রথমে ১৫ লাখ ইউরোপীয় ইহুদিকে ফিলিস্তিনে অবৈধভাবে পাঠানো, সঙ্গে নিজেও ফেরার পরিকল্পনা করছিলেন।
ফিলিস্তিনে অবস্থানকারী ইরগুনের নেতাদের একজন, পোলিশ জায়নিস্ট আব্রাহাম স্টার্ন-এর সঙ্গে মিলে তারা ৪০ হাজার ইহুদি যোদ্ধা নিয়োগ করে এবং হ্যান্ডগান, রাইফেল, বিস্ফোরক ও গুলি চোরাচালান শুরু করে। উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নিজেদের বিদ্রোহ শুরু করা।
স্টার্ন একটি গানও লেখেন ইরগুনের জন্য, যার নাম ছিল ‘অজানা সৈনিকেরা’। এটি এমন একটি গান যেখানে যা ইহুদিদের গোপন মিলিশিয়ায় যোগ দিয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনে জীবন দেওয়ার আহ্বান ছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ইরগুনের সেই মহাবিদ্রোহের পরিকল্পনাকে স্থগিত করে দেয়।
হিটলারের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা ও লেহি বাহিনী গঠন
হিটলারের উত্থান এবং পোল্যান্ড, জার্মানি ও পরে ফ্রান্সে ইহুদিদের ওপর সংগঠিত নিপীড়ন দেখে জাবোটিনস্কি ব্রিটিশদের কাছে প্রস্তাব দেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মতো এবারও তিনি তার প্রশিক্ষিত ইহুদি যোদ্ধাদের নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ব্রিটিশদের সাহায্য করবেন।
এর এক বছর পর নিউ ইয়র্কের একটি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তবে ব্রিটিশদের পাশে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত ইরগুনের ভেতরে মতপার্থক্য সৃষ্টি করে। বিশেষ করে তখন যারা ব্রিটিশ ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি ছিল, তারা বুঝতে পারছিল না সংগঠনের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় আব্রাহাম স্টার্ন ইরগুন থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব একটি মিলিশিয়া গঠন করেন, যার নাম ছিল ‘লেহি’ বা স্টার্ন গ্যাং।
তিনি অর্থ সংগ্রহের জন্য ব্রিটিশ ব্যাংক ডাকাতি করার চেষ্টা করেন, যদিও প্রায় সব ক্ষেত্রেই তা ব্যর্থ হয়।
স্টার্নের মতবাদ জাবোটিনস্কির চেয়েও অধিক চরমপন্থী ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চল থেকে বহিষ্কার বা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। তিনি ইহুদিদের ‘প্রভু জাতি’ এবং আরবদের ‘দাস জাতি’ হিসেবে বর্ণনা করতেন।
স্টার্ন এবং তার অল্পসংখ্যক কিন্তু নিবেদিত অনুসারী নিজেদের ‘সন্ত্রাসী’ বলেই উল্লেখ করতেন। তারা বিশ্বাস করতেন যে যদি লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন হয় তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমও ন্যায়সঙ্গত।
স্টার্ন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে এতটাই উন্মত্ত ছিলেন যে, ১৯৪১ সালে তিনি হিটলারের কাছে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি প্রস্তাব দেন, যদি হিটলার ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন, তবে তিনি ও তার সংগঠন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নাৎসিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
স্টার্নের এই ধারণা ছিল চরম নির্বুদ্ধিতা ও ছেলেমানুষির মতো। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, হিটলারের সঙ্গে একজোট হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
তিনি চেয়েছিলেন, নাৎসিদের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে, যাতে তারা ইউরোপের ইহুদিদের ফিলিস্তিনে পাঠাতে দেয় এবং সেখানকার ইহুদিরা জার্মানদের পক্ষে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু নাৎসিরা কোনো উত্তর দেয়নি।
শেষ পর্যন্ত, স্টার্ন ব্রিটিশ পুলিশের জারি করা এক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে পালানোর সময় নিহত হন।
যদিও তার সংগঠন (লেহি বা স্টার্ন গ্যাং) তিনি যেমন চেয়েছিলেন সেই প্রভাব অর্জন করতে পারেনি। তবুও পরবর্তী কয়েক বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।
পড়ুন প্রথম পর্ব: ফিলিস্তিনে যেভাবে জায়নবাদীদের আগমন