ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩২, ২৬ জুন ২০২৫, ০০ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

লড়াই করে বিশ্বকে কী শেখাল ইরান?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৬, জুন ২৬, ২০২৫
লড়াই করে বিশ্বকে কী শেখাল ইরান? ইসরায়েলের আকাশে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র

ইতিহাস বহুবার দেখিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু পশ্চিমা দেশ প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে তাদের নীতি চাপানোর সময় গোলমাল বাঁধিয়ে ফেলে। পশ্চিমা শিবির প্রাচ্যের নিজস্ব ক্ষমতা ঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয় বলে মনে করে ইরান।

দেশটি মনে করে, গত ৪০ বছরে তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হল পূর্ণ স্বাধীনতা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠা। তো, যুক্তরাষ্ট্র আর জায়নবাদী ইসরায়েলের অন্যায্য হামলার বিরুদ্ধে দেশটির বীরোচিত লড়াই বিশ্বকে এবার কী শেখাল?

প্রাচীন পারস্যের উত্তরাধিকারী ইরান এবং এর জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে, যে সরকারের জনসমর্থন আছে, তারা তাদের নিজস্ব ক্ষমতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে। জনগণের বাহিনীকেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী বলে মনে করে ইরান। ইতিহাস শিক্ষা দেয়, জনসমর্থন না থাকলে কোনো সরকারের ভবিষ্যৎই দীর্ঘ নয়। ইরানি সরকার সবসময় তার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ।

প্রাচ্যের বৈশিষ্ট্য হলো, বাইরে থেকে যা দেখা যায়, তা বাস্তবে নেই। বাস্তবতা লুকিয়ে আছে মানুষের ভেতরের শক্তিতে। ইরান তার জনগণকে বোঝাতে পেরেছে, একটি দেশ এবং জনগণের নিরাপত্তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যারান্টি তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, ঐক্য ও সংহতি। আর প্রতিটি যুদ্ধবিরতিই শান্তির সুযোগ, যা মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য।

বিজ্ঞানীদের হত্যা করে জ্ঞানকে হত্যা করা যায় না, তার প্রমাণ ইরান। দেশটি নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের সামরিক গর্বের প্রতীক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। টানা হামলা করে ইসরায়েলকে পুরোপুরি অসহায় ও নাজেহাল করে ছাড়ে ইরানি সামরিক বাহিনী।

দেশটি ওই যুদ্ধে দেখিয়ে দিয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতেও উন্নত সামরিক প্রযুক্তি ছাড়া কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইন শক্তিহীন। এ ধরনের জরুরি আর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সত্যিকার বন্ধু ও শত্রুদের চিনে নিয়ে আলাদা করতে হয়।

ইরান মনে করে, প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে, প্রতিবেশীর শত্রুর যুদ্ধবিমানে জ্বালানি না দিয়ে প্রতিবেশীকে পানি দেওয়া উচিত। কারণ, সেই আগুন শেষ পর্যন্ত আপনার নিজের বাড়িতেও পৌঁছে যাবে। নিজের ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইরান।

দেশটি শান্তি রক্ষার জন্য নিরবচ্ছিন্ন প্রতিরোধ জারি রাখার পক্ষে। শান্তি সবসময়ই ঝুঁকিতে ছিল এবং এখনো আছে বলে দেশটি মনে করে। কারণ, বিশ্বের একটি অংশ দানবের মতো। তাই মর্যাদাপূর্ণ শান্তির মূল্য সবসময় মনে রেখে তা সংরক্ষণে কাজ করতে চায় দেশটি।

এমএইচডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।