ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যে কাতারে অবস্থিত মার্কিন আল-উদেইদ বিমানঘাঁটির ওপর প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান। হামলা হবে এই বার্তা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আগেই জানানোয়’ ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, কাতারে ইরানি হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলের কাঁধে এর দায় চাপিয়েছে ওমান।
সোমবার (২৩ জুন) কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন-পরিচালিত সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরাকের মার্কিন ‘আই আসাদ ঘাঁটিতে’ ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
কাতারে মার্কিন আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি রাজধানী দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের ‘ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর’।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে তেমন শক্তিশালী মনে করেননি। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে না।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোনো মার্কিনি হতাহত হননি এবং প্রায় কোনো ক্ষতিই হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—তারা হয়তো তাদের ‘ক্ষোভ’ মিটিয়ে ফেলেছে, এবং আশা করছি, আর কোনো ঘৃণা থাকবে না।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাই আগাম বার্তা দেওয়ার জন্য, যার ফলে কোনো প্রাণহানি হয়নি এবং কেউ আহতও হয়নি। সম্ভবত এখন ইরান এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগোতে পারবে, এবং আমি উৎসাহের সঙ্গে ইসরায়েলকেও একই পথ অনুসরণ করতে বলব।
এদিকে, কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানি হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলাকে তারা কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে।
এক বিবৃতিতে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা চলছে, ওমান সালতানাত তার নিন্দা জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতির শুরু হয়েছিল ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল বে-আইনিভাবে ইরানে বোমা হামলা চালায়। ওমানের মতে, এ ধরনের একতরফা সামরিক অভিযান শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এমজে