ইরানে হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে। এমনটি বলেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
তিনি বলেন, এই হামলার ফলে ইরানের সরকার আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং সাধারণ মানুষ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পাশে ঐক্যবদ্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে যাত্রা শুরু করা ট্রাম্প এখন নতুন একটি যুদ্ধ শুরু করেছেন। এই সফলতায় তার নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু অবকাঠামো ধ্বংস হয়নি এবং এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রকেও স্থলযুদ্ধে জড়াতে হতে পারে, বলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী পুতিন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে খামেনিকে হত্যা নিয়ে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পুতিন জানান, ইরানের বুশেহরে রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি হওয়া পারমাণবিক স্থাপনায় কর্মরত রুশ বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তা নিয়ে ইসরায়েল আশ্বাস দিয়েছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার কড়া প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিকে (এনপিটি) দুর্বল করেছে। তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলে, এখনই বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি বিপজ্জনক সংঘাতের সূচনা। এতে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্ব নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
ইরানের পাশে দাঁড়ানোর দাবি রাশিয়ার ভেতরেই
রাশিয়ার অভ্যন্তরেও ইরানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান উঠেছে। রুশ ধনকুবের কনস্তান্তিন মালোফেইয়েভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়েছে, আমাদেরও তেমনভাবে ইরানকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র ও উপগ্রহ গোয়েন্দা সহায়তা দেওয়া উচিত।
এদিকে কারাগারে বন্দি রুশ জাতীয়তাবাদী নেতা ইগর গিরকিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি ইরানকে সহায়তা না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে এবং ইরান পুরোপুরি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যাবে।
আরএইচ