ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ জুন ২০২৫, ২২ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আরাক রিঅ্যাক্টরে হামলায় তেজস্ক্রিয় প্রভাব নেই: আইএইএ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৯, জুন ১৯, ২০২৫
আরাক রিঅ্যাক্টরে হামলায় তেজস্ক্রিয় প্রভাব নেই: আইএইএ

ইরানের আরাক ভারী পানি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় কোনো তেজস্ক্রিয় প্রভাব নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

এ ঘোষণার আগে সংস্থাটি আরাক ভারী পানি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরে ইসরায়েলি হামলার তথ্য নিশ্চিত করে।

 

আইএইএ বলছে, ইরানের খোনদাব হেভি ওয়াটার চুল্লি যেটি আরাক রিঅ্যাক্টর নামেও পরিচিত সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সাইটটি অকার্যকর ও পারমাণবিক উপাদান না থাকায় কোনো তেজস্ক্রিয় প্রভাব নেই।

এক্সে দেওয়া দেওয়া এক পোস্টে আইএইএ জানিয়েছে, তারা হামলার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এবং বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই যা প্রমাণ করে যে আরাক সুবিধার হেভি ওয়াটার প্ল্যান্ট অংশটিও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মাত্রা আরও বেড়ে গেল। আইএইএ জানিয়েছে, তারা ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে রয়েছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

বৃহস্পতিবার সকালে আরাক ভারী পানি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরে হামলা চালায় ইসরায়েল। তার আগে রিঅ্যাক্টরের আশপাশে বসবাসকারী জনগণকে অবিলম্বে সেখান থেকে সরে যেতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জায়োনিস্ট সেনাবাহিনী।    

ভারী পানি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে, তবে এর উপজাত হিসেবে প্লুটোনিয়াম উৎপন্ন হয় যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে ইরান বলেছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন সীমিত করার লক্ষ্যে ব্রিটেন এর আগে ইরানি সরকারের সঙ্গে আরাক রিঅ্যাক্টরের পুনঃনকশায় সহযোগিতা করছিল।

২০১৫ সালের চুক্তির আলোচনার অংশ হিসেবে, ইরান সম্মতি দিয়েছিল যে তারা তাদের ভারী পানি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বিক্রি করবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও এক চুক্তিতে প্রায় ৩২ টন ভারী পানি ৮ মিলিয়নেরও বেশি ডলারে কিনেছিল।   

সকালের এ ঘটনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মাত্রা আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে একটি ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। সম্প্রতি গাজা যুদ্ধের পর উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হুমকি-আক্রমণ বেড়েছে।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।