ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নবনিযুক্ত চিফ অব স্টাফ, মেজর জেনারেল সাইয়্যেদ আবদুর রহিম মুসাভি এক টেলিভিশন বার্তায় বলেছেন, গত শুক্রবার(১৩ জুন) থেকে এখন পর্যন্ত যেসব অভিযান চালানো হয়েছে, তা ছিল কেবল সতর্কতামূলক; প্রকৃত 'শাস্তিমূলক' হামলা খুব শিগগিরই শুরু হবে।
তিনি বলেন, সামরিক লক্ষ্যবস্তুর নামে ছদ্মবেশে সম্প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইরানের নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
মুসাভি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সকল আইন উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা ও লেবাননে প্রায় ৩০০ সাংবাদিককে হত্যা করেছে এবং এখন ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি-এর সাংবাদিকদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে সত্যের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।
তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, ইরানি জাতি কখনও কোনো আগ্রাসনের সামনে মাথা নত করেনি। এই বর্বর কর্মকাণ্ডের জবাব আমরা কঠিনভাবে দেব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সহকর্মী, বিজ্ঞানী এবং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের শাহাদাত আমাদের প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে।
মেজর জেনারেল মুসাভি জানান, গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত আইআরজিসি অ্যারোস্পেস ফোর্স এবং এয়ার ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একযোগে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে, যার ফলে শত্রু পক্ষ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তবে তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, এগুলো কেবল একটি প্রাথমিক সতর্কতা মাত্র; শাস্তিমূলক আসল হামলা খুব শিগগিরই আসছে।
তিনি অধিকৃত ভূখণ্ডে থাকা জনগণ, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফায় অবস্থানকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান—নিজেদের জীবন বাঁচাতে এবং নেতানিয়াহুর ‘পাশবিক খেয়াল-খুশির’ বলি না হন।
শেষে তিনি বলেন, বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় জাতিগণ আশ্বস্ত থাকুন— ইরানের মহান জাতি তার সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে শহীদদের রক্তের প্রতিশোধ অবশ্যই নেবে, ইনশাআল্লাহ। ”
সূত্র: আল জাজিরা, প্রেস টিভি
এমএম