যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির খুব কাছে চলে গিয়েছিল। যদিও তার জাতীয় গোয়েন্দা (এনআই) পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য এর বিপরীত।
মার্চের শেষ দিকে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার চলমান পর্যবেক্ষণ মতে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। তাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী ২০০৩ সালে যে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন, তা পুনরায় অনুমোদন দেননি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার গোয়েন্দাপ্রধানের এই অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘সে কী বলেছে আমি সেটা ধর্তব্যে নিই না। আমার মনে হয় তারা (পরমাণু অস্ত্র তৈরির) খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ’
কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সম্মেলন থেকে ফেরার পথে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ উড়োজাহাজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, তার লক্ষ্য ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেয়েও বেশি কিছু।
তিনি বলেন, ‘আমি যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি। আমি চাই একটি বাস্তব সমাপ্তি, যেখানে ইরান পুরোপুরিভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের আশাকে ত্যাগ করবে। ’
তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও কর্মীদের ওপর হামলা না করার বিষয়ে তেহরানকে আবারও সতর্ক করে বলেন, ‘ইরান জানে আমাদের সেনাদের ছোঁয়া যাবে না। তারা যদি আমাদের লোকদের কিছু করে, আমরা এতটা কঠোর হবো যে সেটা ওরা কল্পনাও করতে পারবে না। ’
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসে ইসরায়েলকে সহায়তা করতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আশা করি তার আগেই এটা ধ্বংস হয়ে যাবে।
সিএনএন মঙ্গলবার চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরান শুধু যে বর্তমানে পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে না, তা নয়; তারা তা উৎপাদনে সক্ষম হওয়ার জন্য এখনো তিন বছর দূরে রয়েছে।
সূত্র: আরটি
এইচএ/
