ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক ও ড্রোন হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার তারা নিহত হন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, খাদ্য বিতরণের সময় হত্যার ঘটনায় তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের ট্রমা সার্জন থানোস গারগাভানিস বলেন, খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে আবারো গণহত্যা হয়েছে। আমরা আবারও দেখছি, যেখানে খাদ্য বিতরণ হয়, সেখানেই বেসামরিক মানুষ হতাহত হন।
এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে খাদ্য ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এমন মানুষের ওপর ইসরায়েলি ট্যাংক ও ড্রোন থেকে গুলি চালানো হয়, এতে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হন।
সম্প্রতি সহায়তার আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর এ ধরনের হামলা প্রায় নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুধু গত কয়েক সপ্তাহেই এ ধরনের হামলায় শত শত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর ঘাঁটিগুলোর কাছাকাছিই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটছে। গারগাভানিস বলেন, ঘটনাস্থল ও খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর অবস্থানের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।
জাতিসংঘের একটি বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, গাজা উপত্যকার কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার ৪৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন।
আরএইচ