ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ বাহিনীর সাত শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালের ওই হামলার খবরটি রোববার (১৫ জুন) জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আইআরজিসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আমাদের সাতজন বীর কমান্ডার শাহাদত বরণ করেছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির হাজিজাদেহ। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার (১৪ জুন) আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ফোর্সের নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাঈয়্যেদ মাজিদ মুসাভিকে।
এছাড়া হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ও আইআরজিসির প্রধান হোসেইন সালামি। নিহত হয়েছেন দেশটির পুলিশপ্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবরিয়ান ও সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট আমির হোসেন সাইফিও।
হামলার আরও একটি বড় ক্ষতি হলো ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ফেরেয়দুন আব্বাসির মৃত্যু। একই হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের অন্তত ১২ জন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পারমাণবিক প্রকৌশল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও যান্ত্রিক প্রকৌশলে বিশেষজ্ঞ একাধিক প্রফেসর ও গবেষক।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা গোয়েন্দা নজরদারির ফসল। টার্গেট ব্যক্তিদের গতিবিধি ইরানে নিযুক্ত ইসরায়েলি গোয়েন্দারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন বলেও জানানো হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের সামরিক ও পরমাণু নেতৃত্বের এই বিপুল ক্ষতি দেশটির প্রতিরক্ষা কাঠামোর জন্য একটি বড় ধাক্কা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও ভয়াবহ ও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এমজে