ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড ও ইসলামিক জিহাদের আল কুদস ব্রিগেড যৌথভাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ডেভিড স্টোনস’ নামে এই অভিযান পরিচালনা করছে।
অভিযান থেকে খান ইউনুসের দক্ষিণাঞ্চলে আবু সরাখা জংশনের কাছে একটি ইসরায়েলি ট্যাংককে ইয়াসিন ১০৪ অ্যান্টি-ট্যাংক শেলের সরাসরি আঘাতে ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি, গাজার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালাতে দেখা যায় আল কাসাম যোদ্ধাদের। এসব কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে হামাস।
একটি পৃথক হামলায় পূর্ব জাবালিয়ার তেল আল-জাতার এলাকায় একটি ইসরায়েলি ডি-নাইন বুলডোজারে শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে বুলডোজার চালক নিহত হয়েছে বলে হামাস দাবি করেছে। অভিযানে অংশ নেওয়া যোদ্ধারা নিরাপদে ফিরে এসেছে বলেও জানায় তারা।
উত্তর গাজার আল-আতাতরা ও বেদলাহিয়ায় আরেকটি জটিল অভিযান চালিয়েছে আল কাসাম। তারা এ অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, একটি বাড়িতে অবস্থানরত ইসরায়েলি ইউনিটের ওপর ট্যান্ডেম বিস্ফোরক শেল নিক্ষেপ করা হয়। একই সংঘর্ষে একটি মার্কাবা ট্যাংকে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে হামলা ও একটি ডি-নাইন বুলডোজারের টারেটের নিচে পাতা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডও খান ইউনুসের উত্তরে একটি সফল অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, তারা ইসরায়েলি অস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি একটি আইইডি দিয়ে একটি সামরিক যান উড়িয়ে দেয়। এছাড়া, বৃহস্পতিবার খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে মাইন নিষ্ক্রিয়কারী একটি ইসরায়েলি ইউনিটকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ চালানোর কথাও জানায় তারা।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘চূড়ান্ত বিজয়’ দাবি আসলে বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত। বরং এই যুদ্ধ নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পতনের দিকেই ইঙ্গিত করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, টাইমস অব ইসরায়েল
এমজে