ঢাকা, শনিবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৪ জুন ২০২৫, ১৭ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩ সন্তান নিয়ে লন্ডন যাওয়া হলো না চিকিৎসক দম্পতির, কাঁদছে সোশ্যাল মিডিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৫০, জুন ১৩, ২০২৫
৩ সন্তান নিয়ে লন্ডন যাওয়া হলো না চিকিৎসক দম্পতির, কাঁদছে সোশ্যাল মিডিয়া সেই সেলফিতে পরিবারের পাঁচ সদস্য

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ভারতের আহমেদাবাদের ধ্বংসস্তূপের কোথাও চাপা পড়ে আছে রাজস্থানের এক পরিবারের একটি মোবাইল ফোন। সেই ফোনটি হয়তো আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

হয়তো ফোনটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে সেই ফোনে তোলা একটি সেলফি রয়ে গেছে ২৪২ জন আরোহীর ওপর নেমে আসা মর্মান্তিক ঘটনার এক নীরব সাক্ষ্য হয়ে। ছবিটি ছিল ওই পরিবারের জন্য নতুন এক জীবনের সূচনা।

উদয়পুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করা কোমি ভায়াস তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিন সন্তান নিয়ে লন্ডনে স্বামী প্রতীক যোশির কাছে চলে যাচ্ছিলেন। তাদের মুখে যে আনন্দের ঝিলিক ছিল, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল।

দুর্ঘটনার শিকার ওই উড়োজাহাজে চিকিৎসক যোশির তোলা সেলফিতে দেখা যায়, তিনি এবং তার স্ত্রী এক পাশে বসে হাসছেন, আর তাদের ছোট যমজ ছেলে দুটি ও বড় মেয়ে উল্টো পাশের আসনে বসে আছে। ছেলেরা ক্যামেরার সামনে হাসার জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে, আর বড় মেয়েটি উজ্জ্বল মুখে হাসছে।

পরিবারের ঘনিষ্টরা জানান, চিকিৎসক কোমি ভায়াস ও প্রতীক যোশি দম্পতি উদয়পুরের প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। যোশি কিছুদিন আগে লন্ডনে চলে যান।

এই সপ্তাহের শুরুতে রাজস্থানের বংশওয়াড়ায় ফিরে এসে পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যোশি। দম্পতির যমজ ছেলে নকুল ও প্রদ্যুতের বয়স ছিল পাঁচ বছর। আর তাদের মেয়ে মিরায়ার বয়স ছিল আট।

চিকিৎসক দম্পতি ও তাদের তিন সন্তানের এই করুণ পরিণতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা দুঃখে ভাসছেন। সেই সেলফি শেয়ার দিয়ে তাদের অনেকে বলছেন, মাত্র কয়েক মুহূর্তেই সব স্বপ্ন ছাই হয়ে গেল। জীবন কতটা ভঙ্গুর—তাই মনে করিয়ে দেয় এই করুণ মৃত্যু।  

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।