কলকাতা: সিকিমে ভয়ংকর দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে সিকিম থেকে ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পার্টের তিস্তা নদীর পাড় থেকে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি পর্যটকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র মতে, কয়েকজন বাংলাদেশির সন্ধান মিলছে না। তাদের পরিবারও উদ্বিগ্ন। এখন পর্ষন্ত সিকিমে ঘুরতে যাওয়া কয়েকজন ঢাকা তথা মীরপুরবাসীর সন্ধান মিলছে না বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, নিখোজ ভারতীয় ২২ সেনা সদস্যসহ ১৪২ জনের সন্ধানে তিস্তা প্রবাহিত সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গের অঞ্চলগুলোতে উদ্ধার অভিযান চলছে।
বরফ গলা পানি আর টানা বৃষ্টিতে বুধবার (৪ অক্টোবর) তিস্তা নদী ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। প্রায় ১২০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ১৩ সেতু এবং অন্য অবকাঠামো। এমনকি পানির স্রোতে ভেসে গেছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক জিনিস। বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে, দুর্গত মানুষদের রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে ২২টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। যেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৬৮৭৫ জন মানুষ। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের আপৎকালীন ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের প্রতি পরিবারে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সিকিমের বহু জায়গায় এখনো আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার পর্যটক। সিকিম সরকারের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩ হাজার পর্যটক উত্তর সিকিম আটকা পড়েছেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রচেষ্টার পরও তাদের কাছে পৌঁছনো যায়নি। দুর্গত মানুষদের ত্রাণ বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৪৪.৮ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে খুব শিগগিরি সিকিম পরিদর্শন করবেন ইন্টার মিনিস্টারিয়াল সেন্ট্রাল টিমের (আইএমসিটি) প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
ভিএস/জেএইচ


