সামনেই পূজার মৌসুম। আর কিছুদিন পর উৎসবে মাতবেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি।
যদিও কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাস তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্গাপূজার আগেই ভারতে আসছে তিন হাজার মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ।
উপ দূতাবাস সূত্রে আরও জানা গেছে যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। আর তা কলকাতা সংলগ্ন পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ঢুকবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে।
জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ গত আগস্ট মাসে চিঠি দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। চিঠিতে পাঁচ হাজার টন ইলিশ আমদানির জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল।
জানা যায়, সেই আবেদনের পর তিন হাজার টন ইলিশ মঞ্জুর করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। কিন্তু তার আগেই গুজরাট থেকে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ আমদানি করেছেন হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
মূলত বছরের এ সময়টায় ভোরেই, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশভর্তি ট্রাক চলে আসে কলকাতার হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। সেসব ট্রাক আসে পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দীঘা, শংকরপুর, কোলাঘাটসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
এবারের ছবিটা একেবারে ভিন্ন। ওইসব জায়গাগুলোতে মাছের উৎপাদন কম হওয়ায় সেভাবে আর ইলিশের গাড়ি আসছে না। তার বদলে ইলিশ মাছ সরাসরি আসছে গুজরাটের ভারুচ থেকে। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টন ইলিশভর্তি ট্রাক ঢ়ুকছে পাইকারী বাজারগুলোয়।
পশ্চিমবঙ্গের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, প্রতিবছর হাওড়া ও কলকাতায় মাছ বাজারে গুজরাট থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টন ইলিশ মাছ আসে। কিন্তু এ বছরে রেকর্ড পরিমাণ গুজরাটের ইলিশ আমদানি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত চার হাজার ৫শ টন ইলিশ আমদানি করা হয়েছে। যা হাওড়া ছাড়াও কলকাতার সবকটি বড় বড় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এবার ইলিশের স্বাদও খুব ভালো। এ কারণে সাধারণ ক্রেতার কাছে চাহিদাও বেশ ভালো।
৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ রুপি দরে। ৯০০ থেকে ১১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ রুপি দরে। সেই মাছই খুচরো বাজারে কেজি প্রতি ১৩০০ থেকে ১৫০০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে।
যদিও মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ কলকাতায় আসে। সেসব ইলিশের দাম বেশি থাকলেও চাহিদাও বেশি থাকে। কিন্তু আসবে কি না এখন সঠিক জানি না। আর এই পরিস্থিতিতে ভোজনরসিক বাঙালিকে কিছুটা হলেও ইলিশের দুঃখ দূর করছে গুজরাটের ইলিশ।
ভিএস/এএটি