ভোট ‘চুরি’ এবং বিহারে ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) ঘিরে তীব্র বিতর্কের মধ্যেই এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
রোববার (১৭ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘ভোটের অধিকার যাত্রা’।
চলতি নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে এসআইআর-এর নামে প্রায় ৬৩ লাখ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। আর সেই অভিযোগকেই সামনে রেখে নির্বাচনী অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নামলেন রাহুল।
সাসারাম থেকে যাত্রা শুরুর সময় রাহুলের পাশে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব ও তার ছেলে তেজস্বী যাদবসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
এ কর্মসূচি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স-এ রাহুল লেখেন, “১৬ দিন, ২০+ জেলা, ১,৩০০+ কি.মি. পথ। জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি ভোটের অধিকার যাত্রা। এটি গণতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক অধিকার— ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’-এর লড়াই। সংবিধান রক্ষায় বিহারে আমাদের সঙ্গে থাকুন। ”
এর আগেও একাধিক যাত্রায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা। ২০২২-২৩ সালে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় অংশ নিয়ে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন তিনি। দুই কর্মসূচিতেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল কংগ্রেস, নির্বাচনী ফলাফলেও তা প্রতিফলিত হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট চুরির অভিযোগকে সামনে রেখে রাহুলের এই নতুন পদযাত্রা বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।
যদিও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ভিন্ন। তাদের দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধন নতুন কিছু নয়— কমবেশি প্রতি ১০ বছর অন্তরই এই প্রক্রিয়া হয়। এর মাধ্যমেই নির্ধারণ করা যায়, কোন এলাকার কত ভোটার মৃত কিংবা স্থান পরিবর্তন করেছেন।
ভিএস/এমইউএম