কোনো ভারতীয় যদি পাকিস্তানের হয়ে গলার স্বর তোলে তাকে সবচেয়ে বড় শাস্তি দিতে হবে। এমন আইন আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ করবেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার (২৬ জুলাই) 'কারগিল বিজয় দিবস' উদযাপন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু এই কঠিন আইন আনার পক্ষে সরব হয়েছেন।
এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি নেতা বলেছেন, পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করে সন্তানের সামনে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আপনি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫/এ প্রত্যাহার, দেশ থেকে তিন তালাক প্রথা বিলোপ, ওয়াকফ সংশোধনী বিল কিংবা এক দেশ এক নির্বাচন থেকে শুরু করে নারী সংরক্ষণ বিলসহ একাধিক আইন ও বড়বড় বিল আপনি এনেছেন, অনেক কঠিন কাজ আপনি করে দিয়েছেন। আর আরেকটা কাজ করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি। আপনার নেতৃত্বে ভারত সরকার এমন কঠিন একটা কঠিন বিল আনুক যাতে এই ভারতে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সড়কে দাঁড়িয়ে কিংবা সাংবাদিকদের সামনে কোনও ব্যক্তি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলার একটাও লোক না থাকে। যদি কেউ পাকিস্তানের পক্ষে হয়ে কথা বলে তাদেরকে যেন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীন সবচেয়ে বড় শাস্তি দেওয়া হোক।
এই মন্তব্যের পাশাপাশি ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গকে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি মুক্ত করারও ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। তার অভিযোগ, চারিদিকে এরা ছেয়ে গেছে। শুধু ভোটার তালিকা নয়, কোনো রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি নাগরিককে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে থাকতে দেওয়া যাবেনা। ' এই ইস্যুতে আগামী ১৫ আগস্ট থেকে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।
বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর দাবি, 'বিহারে যদি ভোটার তালিকা থেকে ৫০ লাখ মানুষের নাম বাদ যায়, তবে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে কমপক্ষে ১ কোটি ২৫ লাখ বাংলাদেশী মুসলিম এবং রোহিঙ্গা ভোটারের নাম বাদ যাবে। আমি ভারতের হিন্দু, মুসলামসহ সব সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছি একজনেরও কোন অসুবিধা হলে, আমি গ্যারান্টার হিসেবে থাকবো। '
ভিএস/এমএম