ইতালির উদিনেতে পিএসজি ও টটেনহ্যামের মধ্যকার সুপার কাপ ফাইনালের আগে অনন্য দৃশ্যের দেখা মিললো। ম্যাচ শুরুর মুহূর্তে ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইউক্রেন ও ইরাকের নয়জন শরণার্থী শিশু মাঠে প্রবেশ করে একটি ব্যানার উন্মোচন করে, তাতে লেখা—‘শিশু হত্যা বন্ধ করুন, বেসামরিক হত্যা বন্ধ করুন’।
উয়েফার এই পদক্ষেপ এসেছে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি ফুটবল কিংবদন্তি সুলেইমান আল-ওবেইদের মৃত্যুকে ঘিরে সংস্থাটির দুর্বল প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনার পর। ৪১ বছর বয়সী এই ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ গাজা উপত্যকার দক্ষিণে মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।
উয়েফা এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে তাকে ‘অন্ধকার সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা দেওয়া প্রতিভা’ বলে উল্লেখ করলেও মৃত্যুর কারণ বা প্রেক্ষাপট জানায়নি। এ নিয়ে লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহ তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন—‘বলতে পারবেন তিনি কিভাবে, কোথায়, কেন মারা গেছেন?’
ফুটবল প্যালেস্টাইন -এর প্রতিষ্ঠাতা বাসিল মিকদাদি মনে করেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে শুরু থেকেই ফুটবল কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় উয়েফার পক্ষ থেকে বাড়তি ব্যাখ্যা আসার সম্ভাবনা নেই। তার ভাষায়, “আল-ওবেইদ এই গণহত্যায় নিহত প্রথম ফিলিস্তিনি ফুটবলার নন—এখন পর্যন্ত ৪০০’র বেশি নিহত হয়েছেন—তবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত মুখ। ”
মিশরীয় ফুটবল তারকা সালাহ প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের সময় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন, যদিও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন কেন তিনি এত দেরিতে এই বিষয়ে সরব হলেন।
ব্যানার প্রদর্শনের একদিন আগে উয়েফা ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন ঘোষণা দেয়—যুদ্ধপীড়িত শিশুদের সহায়তায় নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্ত রয়েছে। গাজার শিশুদের জন্যও প্রকল্প চালানো হবে বলে জানায় উয়েফা।
এর আগে সংস্থাটি আফগানিস্তান, লেবানন, সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের সহায়তা দিয়েছে।
এমএইচএম