সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডোকে সামনে রেখে নেপালে দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই সফরের জন্য ঢাকায় শুরু হয়েছে দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প।
কানাডিয়ান প্রফেশনাল ফুটবল লিগে কাভালরির হয়ে খেলা সামিতের ক্লাবের দুটি ম্যাচ রয়েছে ৬ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। একই সময়ে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। যদিও ফিফার নিয়ম অনুযায়ী উইন্ডোর অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য ক্লাবগুলো, তবে বাফুফে সামিতকে নিয়ে সেই জটিলতায় যেতে চায় না।
জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘সামিতের ক্লাব ম্যাচ থাকায় তাকে প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা হয়নি। ক্লাব ও খেলোয়াড় দুদিকের বিষয়টিই ফেডারেশনকে বিবেচনায় নিতে হয়। ’
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলে খেলা হামজা চৌধুরিকে নিয়ে এখনো আশাবাদী বাফুফে। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ঘোষিত ২৪ জনের প্রাথমিক তালিকায় হামজার নাম রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে তার ক্লাব লেস্টার সিটিকে চিঠিও দিয়েছে ফেডারেশন। জাতীয় দলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, হামজাকে সেপ্টেম্বরের ম্যাচে খেলাতে তারা লেস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হলেও এখনো পূর্ণ স্কোয়াড জড়ো হয়নি। প্রথম দিনে মাত্র পাঁচজন ফুটবলার ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন, যার ফলে কোচ মাঠে অনুশীলন শুরু করতে পারেননি। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলা আবাহনী লিমিটেডের ফুটবলাররা ক্যাম্পে যোগ দেবেন আগামীকাল এবং বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা আসবেন আগামী পরশু।
তবে এবার ক্যাম্প শুরু হলেও ফেডারেশন খেলোয়াড় তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি, যা সাধারণত ক্যাম্প শুরুর আগেই করা হয়ে থাকে। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও এখনো ক্যাম্পে যোগ দেননি। জানা গেছে, তিনি এক দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন ফেডারেশনের কাছে।
এবারের ফিফা উইন্ডো মূলত অক্টোবরের এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের প্রস্তুতির অংশ। হংকংয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সফলতা আনতে চাইলে সেপ্টেম্বরের প্রস্তুতিই হতে পারে বড় সহায়ক। তাই হামজা কিংবা সামিত দুজনকেই দলে পাওয়া গেলে দলের শক্তি ও বোঝাপড়ার দিক থেকে তা হবে বড় প্রাপ্তি। কিন্তু বাফুফে আগে থেকেই সামিতের বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে এখন হামজাকে ঘিরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এআর/এমএইচএম