ঘরের মাঠে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
প্রথমার্ধে দুই দলের মধ্যে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একাধিক সুযোগ তৈরি হলেও কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় মুরাস ইউনাইটেড। তাদের ফরোয়ার্ড ওলে মারচুক বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গা পেয়ে নিচু শট নিলেও তা গোলপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
১০ মিনিটে আবারও মুরাসের আক্রমণ ঠেকান আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পোস্ট লক্ষ্য করে নেওয়া চাভেল গোমেসের শক্তিশালী শটটি ফিস্ট করে বাঁচান তিনি। এরপর ১২ মিনিটে আলিগুলভ মাকসাতের শটও ফিরিয়ে দেন মিতুল।
ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে আবাহনী। ১৩ মিনিটে শাকিল হোসেনের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন মুরাসের গোলরক্ষক ওরেস কোস্তিক। ফিরতি বলে মোরছালিনের শট বিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কর্নারে পরিণত হয়। ১৮ মিনিটে সুলেমান দিয়াবাতে বাম দিক দিয়ে দারুণ ড্রিবল করে শট নেন, কিন্তু বলটি চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
২১ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত সেভ করেন মিতুল মারমা। এরপরই সুযোগ পান আল আমিন। বল নিয়ে একাই এগিয়ে গেলেও শট নেওয়ার আগমুহূর্তে ইউক্রেনীয় ডিফেন্ডার বাতসুলা কর্নারে পাঠিয়ে দেন।
৩০ মিনিটে দিয়াবাতে মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক রান করে বাম দিকে ইব্রাহিমকে বল বাড়ান। কিন্তু কাছ থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর মাধ্যমে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগ হারায় আবাহনী। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পরপরই গোল হজম করে বসে আবাহনী। ৪৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বাতসুলার লম্বা ক্রসে হেড করে গোল করেন আতায় ঝুমাশেভ। গোলটি আসে একেবারে ফাঁকা জায়গা থেকে, কারণ ওই সময় আবাহনীর রক্ষণভাগ ছিল খানিকটা এলোমেলো।
গোল হজমের পর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। একের পর এক আক্রমণ করলেও শাকিল, দিয়াবাতে ও ইব্রাহিমের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন গোলরক্ষক কোস্তিক ও মুরাসের রক্ষণভাগ।
শেষ মুহূর্তে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আবাহনী, তবে সেটিই তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। ৯০তম মিনিটে মুরাসের একটি পাল্টা আক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন আবারও আতায় ঝুমাশেভ। ডান দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে নেওয়া তার জোরালো শট ঠেকাতে পারেননি মিতুল।
দুই অর্ধেই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের অভাবই আবাহনীর স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে বিদায় নেয় মারুফুল হকের দল।
এআর/আরইউ