প্রায় এক দশকের সম্পর্কের পর অবশেষে বাগদানের ঘোষণা দিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জর্জিনা রদ্রিগেজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ও আবেগঘন বার্তা দিয়ে খবরটি শেয়ার করেন আর্জেন্টাইন মডেল।
ইনস্টাগ্রামে আংটির ছবি পোস্ট করে জর্জিনা লিখেছেন, ‘আমি হ্যাঁ বলেছি। এই জীবন ও আমার সব জন্মে। ’ এর মাধ্যমেই তিনি নিশ্চিত করলেন, রোনালদো তাকে প্রস্তাব দিয়েছেন এবং উপহার দিয়েছেন একটি এক্সক্লুসিভ এনগেজমেন্ট রিং। বহুদিন ধরে অপেক্ষারত ভক্তদের জন্য এটি ছিল প্রতীক্ষিত মুহূর্ত।
তাদের প্রেমের গল্প শুরু ২০১৬ সালের শেষ দিকে মাদ্রিদের একটি গুচি স্টোরে, যেখানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন জর্জিনা। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যান দু’জন। শুরুতে গোপনে ডেটিং চললেও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রথমবার একসঙ্গে প্রকাশ্যে আসেন, যেখানে রোনালদো বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন। সেই বছরই জন্ম হয় তাদের প্রথম কন্যা, আলানা মার্তিনার। পরিবারের অংশ হন রোনালদোর বড় ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র ও যমজ সন্তান ইভা এবং মাতেও।
২০২১ সালে তারা যমজ সন্তানের খবর দেন, তবে জন্মের আগে এক ছেলে মারা যায়। পরে জন্ম নেয় বেলা এসমেরালদা। বর্তমানে সৌদি আরবে বসবাসকারী এই পরিবার নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে সুখের মুহূর্ত শেয়ার করেন।
খ্যাতি পাওয়ার আগে জর্জিনা ওয়েট্রেস ও ন্যানি হিসেবে কাজ করতেন। গুচিতে চাকরিই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রোনালদোর কথায়, ‘সে ভালো মেয়ে এবং আমার জন্য বড় সহায়তা। ’ ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরোর সঙ্গেও শুরুতে কিছু মতভেদ থাকলেও পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
২০১৭ সালে মডেলিং এজেন্সি ইউএনও মডেলসের সঙ্গে চুক্তি করে জর্জিনার ক্যারিয়ার নতুন গতি পায়। ভোগ ও মেন’স হেলথ ম্যাগাজিনে কাজ, সানরেমো ফিল্ম ফেস্টিভাল ও এমটিভি ইউরোপ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে অংশগ্রহণ, দাতব্য সংস্থা ‘নুয়েভো ফুতুরো ফাউন্ডেশন’-এর সঙ্গে কাজ এবং নিজস্ব পোশাক ব্র্যান্ড চালু—সব মিলিয়ে তিনি এখন সফল একজন উদ্যোক্তাও।
জর্জিনার ভাষায়, রোনালদো তাকে ‘সহায়তা করেন, শেখান ও অনুপ্রাণিত করেন। ’
তাদের ঘর এখন শান্তি ও ভালোবাসার আশ্রয়, যেখানে খুব শিগগিরই হবে বিয়ের আয়োজন।
এমএইচএম