জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য ঋতুপর্ণা চাকমার জন্য গতকালকের দিনটি হয়ে থাকল স্মরণীয়। বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে ট্রফি জয়ের উচ্ছ্বাস তখনো কাটেনি, এরই মধ্যে এল আরও এক সুখবর।
রাতের বেলা বাফুফের ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় হঠাৎ এই সংবাদ পান ঋতুপর্ণা। বিস্মিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘খবরটা শুনে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। বিসিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। বিসিবি সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। ’
রাঙামাটির মঘাছড়ি গ্রামে জন্ম নেওয়া ঋতুপর্ণার পরিবারের বসবাস দুর্গম এক পাহাড়ি এলাকায়। চলাচলের অসুবিধার কারণে পূর্বের বাড়ি অনেকটাই অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। তবে বিগত সরকার ঘাগড়া ইউনিয়নে তাকে যে ১২ শতাংশ জমি বরাদ্দ দিয়েছিল, সেটির আনুষ্ঠানিক মালিকানা হস্তান্তর এখনো হয়নি। তিনি জানান, ‘জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি, কিন্তু রেজিস্ট্রি হয়নি। ভুটান লিগে যাওয়ার আগেও আমি কাগজপত্র দিয়েছিলাম, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। ’
ঋতুপর্ণার আবেদন নতুন বরাদ্দ পাওয়া জায়গায় যেন বিসিবির সহায়তায় তার পরিবারের জন্য একটি বসবাসযোগ্য বাড়ি নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা যে জায়গায় থাকি তা অনেক ভেতরে। নতুন জায়গায় যদি বাড়ি হয়, পরিবার নিয়ে নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারব। এজন্য জায়গার কাগজপত্রের জটিলতা দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। ’
মাত্র তিন দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন ঋতুপর্ণা। আগামীকাল সকালে আবার ফিরে যাবেন ভুটানে।
এআর/আরইউ