ভারতের ফুটবল কোচ নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে এক খবর। বার্সেলোনার কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হের্নান্দেস ভারতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের পদে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়।
গত ৪ জুলাই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে, ‘আমরা জাতীয় ফুটবল দলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছি। ’ এ পোস্টের পরেই দেশ-বিদেশে আলোচনা শুরু হয়। এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাবেক গোলরক্ষক এবং ভারতের ফুটবল দলের পরিচালক সুব্রত পাল বলেছিলেন, ফেডারেশন তাদের কাছে জাভির একটি আবেদন পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাভির নাম আসাই সত্য। তিনি আমাদের কাছে আবেদন পাঠিয়েছেন। ’
তবে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি জাভির আবেদনকে চূড়ান্ত শর্টলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেনি আর্থিক সংকটের কারণে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতালিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো টুইট করে লেখেন, ‘জানা গেছে, জাভি ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু আর্থিক শর্ত পূরণে ফেডারেশন ব্যর্থ হওয়ার কারণে সেটি আমলে নেওয়া হয়নি। ’
তবে শিগগিরই জানা যায়, আসলে বিষয়টি ছিল এক প্রাঙ্ক। ভারতের ভিট ভেলোর এক ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী দ্যা টেলিগ্রাফকে জানায়, তিনি জাভির নাম দিয়ে হুবহু একটি নকল ইমেইল আইডি তৈরি করেন এবং চ্যাটজিপিটিকে দিয়ে জাভির পক্ষে একটি আবেদন ইমেইল লিখে পাঠান ভারতীয় ফেডারেশনকে। তিনি বলেন, ‘আমি চ্যাটজিপিটির লেখা কপি-পেস্ট করে ৪ ও ৫ জুলাই ফেডারশনকে ইমেইল করেছিলাম। কোনো সিভি বা অন্য কিছু সংযুক্ত করিনি, কিন্তু মনে হয় তারা ইমেইলটি দেখেছে। ’
এছাড়া তিনি ভারতীয় ফেডারেশনকে পাঠানো নকল ইমেইলের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। এরপরই ফেডারেশন জানায়, তারা স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা এবং জাভির নামে আবেদন পেয়েছিল, কিন্তু আবেদনগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এই আবেদনগুলোর প্রামাণিকতা নিশ্চিত করতে পারিনি এবং এগুলো প্রকৃত নয়। ’
এই ঘটনায় অনেকেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তথ্য যাচাইয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষত তখন, যখন ভারতের ফুটবল দল ২ জুলাই থেকে কোচ ছাড়া অবস্থায় রয়েছে এবং র্যাংকিংয়ে ১৩৩তম অবস্থানে রয়েছে।
আরইউ