ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৫ জুলাই ২০২৫, ২৯ মহররম ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ড্র দ্য লাইন: সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক আন্দোলন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৭, জুলাই ২৩, ২০২৫
ড্র দ্য লাইন: সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক আন্দোলন

ঢাকা: অধিকার, কর্মসংস্থান ও ন্যায্যতা স্লোগানে ‘ড্র দ্য লাইন: সেপ্টেম্বর ২০২৫’ শিরোনামে বৈশ্বিক আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বেশ কিছু সংগঠন।

বুধবার (২৩ জুলাই) ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলে হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বের নানা প্রান্তে শক্তিশালী এক ঢেউয়ের মতো আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে।

‘ড্র দ্য লাইন’ ব্যানারে, শহর ও গ্রামে জনগোষ্ঠী সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানাবে—অবিচার, দূষণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে, এবং ন্যায্য রূপান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ন্যায্যতা ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের পক্ষে। এটি একটি বৈশ্বিক আহ্বান হয়ে উঠেছে, যাতে কর্মজীবী নারী-পুরুষ, তরুণ, আদিবাসী গোষ্ঠী এবং সামাজিক আন্দোলন এর সমর্থন রয়েছে। যখন জলবায়ু বিপর্যয়, কর্তৃত্ববাদ, ও বৈষম্য বাড়ছে, তখন এই বার্তা স্পষ্ট: মানুষ ও পৃথিবীর জন্য আমাদের একটি সীমানারেখা টানতেই হবে।

ড্র দ্য লাইনের এই বৈশ্বিক কর্মসূচি চলবে ১৫–২৮ সেপ্টেম্বর, যার মধ্যে ১৯–২১ সেপ্টেম্বর সপ্তাহান্তে সবচেয়ে বড় কর্মসূচিগুলো আয়োজন করা হবে। এই আয়োজনের শ্লোগান হচ্ছে ‘অধিকার, কর্মসংস্থান ও ন্যায্যতা’।  

এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে 350.org, CAN-International, APMDD, War on Want, Waterkeepers Bangladesh এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠন।

এই ঘোষণা এসেছে এমন এক সময়ে যখন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিউ ইয়র্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু বিষয়ক ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে পরিবর্তন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে—জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার ন্যায্য রূপান্তর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ সফলতা বয়ে আনবে।

ড্র দ্য লাইন আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার কর্মসূচি আয়োজন করতে যাচ্ছে। যেমন লাল ও সবুজ রেখা আঁকার প্রতীকী কর্মসূচি, দীর্ঘ পদযাত্রা, ধর্মঘট, উৎসব, কমিউনিটি সভা, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা ধরণের আয়োজন থাকবে। গণ “রেখা” গঠন, প্রতীকী সীমা চিহ্নিতকরণ, এবং সাহসী শিল্পকর্মের মাধ্যমে দাবি জানানো হবে। ন্যায্য রূপান্তর, গ্লোবাল সাউথের জন্য জলবায়ু অর্থায়ন, এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ধাপে ধাপে বন্ধকরণ।

এই আন্দোলনে বিশ্বব্যাপী যেসব শহরে কর্মসূচি হবে, তার মধ্যে রয়েছে: জোহানেসবার্গ, নয়াদিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, করাচি, লাহোর, নাইরোবি, কোটোনু, অটোয়া, নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস, বার্লিন, সুভা, মেলবোর্ন, জাকার্তা, ম্যানিলা, টোকিও, ঢাকা এবং বেলেম।

‘ধরা’র বিবৃতিতে বলা হয়, এই সেপ্টেম্বরের গণমোর্চা অনুষ্ঠিত হবে COP30 সম্মেলনের মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে, যেখানে বিশ্ব নেতারা ব্রাজিলে একত্রিত হবেন। এসব আন্দোলন আমাদের, আমাদের সন্তানদের এবং জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ভালো পৃথিবীর দাবি করবে। যেখানে নবায়নযোগ্য ও সাশ্রয়ী জ্বালানীশক্তি সকলের জন্য সহজলভ্য হবে, যেখানে আমরা অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারবো, মানুষ ও প্রকৃতি নিরাপদ থাকবে, এবং বড় দূষণকারীরা জলবায়ু সংকটের খরচ বহন করবে।

আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের, দূষণকারী ও ধনকুবেরদের নয়। তাই এই সীমারেখা আমাদের আঁকতেই হবে।  

দাবিসমূহ
বিবৃতিতে উল্লিখিত দাবির মধ্যে রয়েছে, শ্রমজীবী মানুষ ও জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে একটি ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থার পরিবর্তন; নবায়নযোগ্য শক্তিকে জোরদার করা, দূষণকারীদের দমন করা; ভবিষ্যতের জন্য অর্থায়ন, সংকটের জন্য নয়; গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা; মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও শান্তির সুরক্ষা করা এবং পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা।

আরকেআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।