ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮ মহররম ১৪৪৭

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

মাদারীপুরে জলাবদ্ধতা দূর করতে ‘বরিশাল খাল’ খনন শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৯, জুলাই ৪, ২০২৫
মাদারীপুরে জলাবদ্ধতা দূর করতে ‘বরিশাল খাল’ খনন শুরু

মাদারীপুর: জলাবদ্ধতা দূর করতে খনন শুরু হয়েছে মাদারীপুরের মৃতপ্রায় 'বরিশাল খালের'। অনেক দিন ধরেই খালটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বন্ধ হয়ে আছে পানি প্রবাহ।

ময়লা-আবর্জনায় বদ্ধ হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে শহরজুড়ে। পানি প্রবাহ না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া বরিশাল খালের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার (৪ জুলাই) খনন কাজ শুরু করেছে মাদারীপুর পৌরসভা।  

জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে শহর থেকে সরাসরি নৌপথে বরিশাল যাতায়াত করতে হতো স্থানীয়দের। এজন্য এটির নাম হয় ‘বরিশাল খাল’। কিন্তু আট কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি দখল আর দূষণে ভরাট হয়ে যায় বেশিরভাগ অংশই। যতটুকু আছে তাও ময়লা আর আবর্জনা ফেলায় ছড়াচ্ছে দুর্গদ্ধ, বাড়ছে রোগবালাই। পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এই জনদুর্ভোগ কমাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খালটি খননের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। শহরের ইটেরপুল থেকে কুমার নদ পর্যন্ত শুরু হয় কার্যক্রম।

একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক বিভাগ ও এলজিডিই’র যৌথ উদ্যোগে খালের দুই পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানাও পরিষ্কার করা হয়। সেসময়ে খালটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। পৌরসভার উদ্যোগে এটি খননে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কর্তপক্ষ।

স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে মৃতপ্রায় খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ খালটির খনন শুরু করায় এখন ভোগান্তি কমবে। বৃষ্টির পানি দ্রুত ড্রেনের মাধ্যমে নেমে যাবে। এতে আর জলাবদ্ধতা হবে না, কিংবা মশা-মাছির উপদ্রবও হবে না। এখান থেকে যাতায়াত করা যেতো না। দুর্গন্ধ আসতো, এটি পরিষ্কার হওয়ায় এই ভোগান্তি থেকে এলাকাবাসী মুক্তি পাবে।

মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল আলম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মাদারীপুর পৌরসভার আওতাধীন খালটির অংশ খনন করতে ব্যয় ধরা হয় তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা। আগামীতেও খালের দুইপাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি, খালের মধ্যে যারা ময়লা ফেলবে তাদের আইনের আওতায় আনা কথা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে খাল খনন করা হলেও আগামীতে বৃহৎ পরিকল্পনার হাতে নেওয়া হবে। যাতে করে ঐতিহ্যবাহী ‘বরিশাল খাল’র নাব্য ফিরে পায়।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।