গ্ল্যামার আর প্রতিভার মিশেলে ক্যারিয়ারের একের পর এক সাফল্যে এখন আলোকিত হানিয়া আমির। চলতি বছর আইএমডিবি প্রকাশিত বিশ্বের সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে নেন পাকিস্তানি এই গ্ল্যামার গার্ল।
হানিয়া তার সতেজ সৌন্দর্য, হাসি এবং প্রাকৃতিক অভিনয়ের জন্য তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। পাকিস্তানি নাটক ও সিনেমায় আধুনিক, সাহসী ও স্বাধীনচেতা নারীর চরিত্রে তাকে বেশি দেখা যায়।
সামাজিকমাধ্যমেও বিশাল ফ্যানবেস রয়েছে তার। নিজের সরল, খোলামেলা ও হাসিখুশি স্বভাবের কারণে তরুণ প্রজন্ম তাকে খুব কাছের মানুষ মনে করে। তার ফ্যাশন, ভ্রমণ ও ব্যক্তিগত স্টাইল স্টেটমেন্টও ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল জাগায়। বড় বড় ব্র্যান্ডের মডেল হিসেবে কাজ করায় তিনি গ্ল্যামার দুনিয়াতেও সমান আলোচিত।
তরুণমুখী ইমেজ, অভিনয় দক্ষতা, সামাজিকমাধ্যমে সক্রিয়তা এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহ- সব মিলিয়ে হানিয়া আমিরকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
পাকিস্তানের এই আলোচিত অভিনেত্রী মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে সানসিল্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন হানিয়া আমির। সেই সূত্রে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন তিনি। এই সফরে ঢাকায় কয়েক দিন থাকার কথা রয়েছে তার।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে রাওয়ালপিন্ডিতেই । পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য রাওয়ালপিন্ডির ফাউজী ফাউন্ডেশন কলেজে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকেই অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন।
২০২৩ সালে ‘দ্য ফোর্থ আম্পায়ার’ নামের একটি টক শোতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন হানিয়া আমির। উপস্থাপক ফাহাদ মুস্তাফার এক প্রশ্নের জবাবে হানিয়া আমির জানান, তিনি কলেজে ভর্তির পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন।
হানিয়া আমিরের কথায়, আমি পড়াশোনায় ভালোই ছিলাম। অভিনয় থেকে ভালো উপার্জন করা শুরু করি, তখন টাকার গুরুত্ব বেশি ছিল। কারণ, সংসারের দায়িত্ব আমার ওপরই ছিল।
জানা যায়, ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়া আমিরের। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।
‘সরদারজি ৩’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটেছে হানিয়ার। সিনেমাটি পাকিস্তানে সাফল্য পেয়েছে। রোমান্টিক থেকে কমেডি, গ্ল্যামারাস থেকে চরিত্রাভিনয় সব ধরনের চরিত্রেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
বর্তমানে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনয়শিল্পীদের মাঝে একজন হানিয়া আমির। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় পারিশ্রমিকও বেড়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ধারাবাহিকে পর্ব প্রতি তিন থেকে চার লাখ রুপি পারিশ্রমিন নেন হানিয়া।
এই অভিনেত্রীর সম্পদের বিষয়ে জানা যায়, ২৮ বছর বয়সী হানিয়া আমিরের সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪৩ কোটি রুপি।
কাজের বাইরে একাধিকবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খবরের শিরোনাম হয়েছেন হানিয়া আমির। এক সময় গায়ক আসিম আজহারের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর ভারতীয় র্যাপার বাদশাহর সঙ্গেও তার প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল হানিয়ার। তবে হানিয়া আমিরের মতে, তারা শুধুই বন্ধু।
এনএটি