ঢাকা, শনিবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিনোদন

ফরিদুল ইসলাম রুবেলের রচনায় ‘বিয়ের শান্তি চুক্তি’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫৯, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
ফরিদুল ইসলাম রুবেলের রচনায় ‘বিয়ের শান্তি চুক্তি’

‘বাসর ঘরে বিড়াল মারা’ নামক প্রবাদ শুনে অভ্যস্ত আমরা। সংসারের সুখের জন্য মানুষ কত কিছুই না করে।

নানান শর্তে জুড়ে দেয় স্ত্রী অথবা স্বামী। তেমনি এক সুখের নীড় তৈরি করতে বাসর রাতেই শান্তি চুক্তি করতে চায় স্ত্রী।

এমন অদ্ভুত ধরনের গল্পে সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল। আর পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মো. ফাহাদ।  

গল্পে দেখা যায়, স্বামী খুশিমনে বাসর ঘরে ঢুকে পাগড়ি রেখে স্ত্রীর পাশে গিয়ে বসে হাত ধরতেই স্ত্রী স্বামীর হাতে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প এবং একগাদা শর্তাবলীসহ চুক্তিপত্র সামনে তুলে ধরে। বিয়ের পর সংসারের কে কোন দায়িত্ব পালন করবে তা সেখানে লেখা।

প্রথম দিকে স্বামী তার চুক্তি মোতাবেক কাজ করলেও ধীরে ধীরে শর্ত ভঙ্গ হতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। এতে বিয়ের শান্তি চুক্তি আর শান্তির বাতায়ন বহন না করে অশান্তির বাতাস বইতে থাকে। পরিবারের লোকজন এ অশান্তি নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।  

এমন গল্পের নাটকে অভিনয় করেছেন শিবলী নোমান, জান্নাতুন নূর মুন, সাইকা আহমেদ, ম. আ. সালাম, ফরিদ হোসাইন,  সুব্রত চক্রবতী, প্রমুখ।  

এ নাটকের বিষয়ে নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, সংসার জীবন সহজ এবং কঠিন এই দুইয়ের মধ্যেই থাকে। সহজ হয় একে অপরের বোঝাপড়ার মধ্যে, আর কঠিন হয় সহজ করে চিন্তা না করতে পারার জন্য। চুক্তি করে আসলে কখনো শান্তি হয় না। শান্তির জন্য প্রয়োজন মিল মহব্বত।

পরিচালক মো. ফাহাদ বলেন, সমাজের নানান অসংগতির কারণে মেয়েটির মনে সংসয়-বিভ্রাট হয়, যেইটা দূর করার জন্য সে বাসর ঘরেই স্বামীর সঙ্গে সুখে থাকার জন্য চুক্তিপত্র তৈরি করে। আদতে সে চুক্তিপত্র তাদের অসুখেরই কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এমনই ব্যতিক্রমধর্মী গল্প শিগগিরই একটি বেসরকারী টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা যায়।  

এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।