ভারতীয় বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনয়, প্রযোজনা- সবকিছুই হাসি মুখে সামলান ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’।
তার পরিবারের প্রায় সবাই সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী। সেখানে পরিবারের মেয়ে অভিনেত্রী হবে, কোনও ভাবেই চাননি তার বাবা।
ঋতুপর্ণা বলেন, অনেক লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও। প্রযোজকেরা ফোন করতেন। বাবা ফোন তুলে বলে দিতেন, ‘না, আমার মেয়ের কোনও আগ্রহ নেই সিনেমায়। এখানে আর ফোন করবেন না’। উনি চাইতেন আমিও আইএএস, আইএফএস অফিসার হই। তবে এ ক্ষেত্রে তার মা অনেকাংশে সাহায্য করেছিলেন।
আসছে ২৯ আগস্ট মুক্তি পাবে অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত সিনেমা ‘বেলা’। এর মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা। বেলার জীবনের সঙ্গে অনেকটাই নাকি মিলে যায় নায়িকার জীবন! সিনেমাটির বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই ব্যক্তিজীবনের ঘটনা শেয়ার করেছেন ঋতুপর্ণা।
এই অভিনেত্রীর কথায়, সব সময় এমন কিছু সিনেমাতে কাজ করতে চাই, যার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস তুলে ধরতে পারব। জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে ‘বেলা’ সিনেমার শুটিংয়ের মুহূর্ত।
বেলা দের বায়োপিক এটি। তিনি ছিলেন আকাশবাণী কলকাতার বিশিষ্ট সঞ্চালিকা, নির্দেশক ও লেখিকা। আকাশবাণী কলকাতায় ‘মহিলা মহল’ নামে জনপ্রিয় একটি শোর সঞ্চালক ও নির্দেশক ছিলেন তিনি। পঞ্চাশের দশকে জনপ্রিয়তা পাওয়া শোটি এখনো প্রচারিত হয়। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজারো নারীর অনুপ্রেরণা তিনি। বাঙালি নারীদের স্বাধীনতা আর স্বীকৃতির জন্য যারা লড়াই করেছেন, তাদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারির মুখ বেলা দে।
ঋতুপর্ণা ছাড়াও ‘বেলা’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভদ্রা বসু, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ। গান গেয়েছেন অরিজিৎ সিং, সোমলতা আচার্য ও ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়।
এনএটি