পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা দপ্তরের আবাসন থেকে গেল ৮ জুলাই উদ্ধার হয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলীর পচাগলা মরদেহ। এরপর পরিবার থেকে মরদেহ নিতে না চাইলেও অবশেষে তা গ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, অভিনেত্রীর বাবা লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানালেও শেষ পর্যন্ত তার ভাই লাশ গ্রহণ করেন। তিনিই বোনের মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানান।
করাচির প্রতিরক্ষা দপ্তরের আবাসনের (ডিফেন্স হাউসিং অথরিটি) একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন হুমাইরা আসগর। অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বাবা মেয়ের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি তিনি তার মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
গলফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, হুমাইরার ভাই নাভিদ আসগর লাহোর থেকে এসে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বোনের মরদেহ গ্রহণ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করিনি। আমাদের মধ্যে দূরত্ব ছিল, তবে তা মানে এই নয় যে আমরা তাকে ত্যাগ করেছি। গত তিন দিন ধরে আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মরদেহ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমার বাবার কিছু কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনা জানতে চাই, তদন্ত যেন স্বচ্ছ হয়।
তিনি আরও জানান, পারিবারিক এক আত্মীয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং বাবার মানসিক অবস্থার অবনতির কারণে তারা সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি।
নাভিদ গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, মিডিয়া যেন অনুমানের ভিত্তিতে খবর না বানিয়ে, প্রকৃত প্রশ্ন তোলে। যেমন বাড়ির মালিক কেন হুমাইরার খোঁজ নেননি? দরজা কিভাবে খোলা হলো? সিসিটিভি কেন ছিল না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।
গত এক বছরে পরিবার একাধিকবার হুমাইরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বলেও জানান তিনি।
হুমায়রা আলোচনায় আসেন টিভি রিয়েলিটি শো ‘তামাশা ঘরে’-এ অংশ নিয়ে। ২০১৫ সালে তার অভিনীত ‘জালাইবি’ সিনেমা মুক্তি পায়। এই সিনেমা তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
এনএটি