ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

বিনোদন

জাহিদ হাসানের কাছে বাংলাদেশের ‘জেমস বন্ড’ ছিলেন মান্না

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৩, জুলাই ৫, ২০২৫
জাহিদ হাসানের কাছে বাংলাদেশের ‘জেমস বন্ড’ ছিলেন মান্না

ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় নায়ক মান্না। আপাদমস্তক চলচ্চিত্রনিমগ্ন মানুষ বলতে যা বোঝায়- নায়ক মান্না ঠিক তেমনটাই ছিলেন।

তার ধ্যান-জ্ঞান সব কিছুই ছিল সিনেমাকে ঘিরে।

অষ্টপ্রহর ভাবতেন দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। আর অনবদ্য অভিনয় দিয়ে তিনি হয়েছিলেন গণমানুষের নায়ক। তার সিনেমা দেখতে হলে হলে ঢল নামতো দর্শকের। মৃত্যুর ১৭ বছর পার হলেও এখনো কমেনি তার আবেদন, জনপ্রিয়তা। প্রয়াত এই নায়কের সঙ্গে জাহিদ হাসানের বেশ সখ্যতা ছিল।

চিত্রনায়ক মান্নাকে বাংলাদেশের ‘জেমস বন্ড’ মনে হয় জাহিদ হাসানের কাছে। কথাটি তিনি প্রয়াত নায়ককে জানিয়েছিলেনও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মান্নার সঙ্গে হলিউড ও লন্ডন সফরের স্মৃতিচারণ করে কথাগুলো বলেন এই অভিনেতা।

তার কথায়, একটা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছিলাম। তখন মান্না ভাইকে নিয়ে বলেছিলাম, বাংলাদেশের পিয়ার্স ব্রসনান। তাকে দেখে জেমস বন্ড মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি কথাটা তাকেও বলেছিলাম।

জাহিদ হাসান বলেন, আমাদের দেশের শিল্পীদের বড় করতে আমার ভালো লাগে। আমি ছোট করব কেন?

মান্নার সঙ্গে লন্ডন সফর প্রসঙ্গে জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, ভাত খাওয়ার জন্য মান্না তাকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন চার শ কিলোমিটার রাস্তা।

এই অভিনেতা বললেন, মান্না ভাইয়ের সঙ্গে একবার লন্ডনে সফর করছি। রাতে আমাকে বললেন, ‘ভাইজান, তুমি এসো। ’ যাওয়ার পর জানতে পারি তিনি ভাত খেতে চাচ্ছেন, মাছ দিয়ে ভাত। মাত্র তিন-চার দিন হলো কিন্তু আমরা গেলাম, বার্গার ও অন্যান্য ফাস্টফুড দিয়ে চলছিল আমাদের। তো তার ভাত খেতে খুব ইচ্ছা করছে। তারপর বলল যে, এই যে এখানে। এ কথা বলে সেখান থেকে আমরা চার শ কিলোমিটার দূরে গেলাম ভাত খেতে।

যোগ করে জাহিদ হাসান বলেন, আমি তাকে বললাম, ‘মান্না ভাই এটা কোনো কথা? ভাত খাওয়ার জন্য আপনার এমন করতে হবে? পাঁচ দিন ভাত না খেলে কী হয়?’ উনি তখন বলেন, ‘বুঝ না, ভাত খাব তো। ’ এই হলো মান্না ভাই, একটা প্রাণোচ্ছল  মানুষ।

প্রসঙ্গত, জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন মান্না। তিনি অনন্তের পথে পাড়ি জমালেও এদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা যুগের পর যুগ তাকে মনে রাখবে।

মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘তেজী’, ‘আম্মাজান’, ‘আব্বাজান’, ‘বীর সৈনিক’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘দাঙ্গা’, ‘লুটতরাজ’, ‘ভাইয়া’, ‘টপ সম্রাট’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘মাস্তানের উপর মাস্তান’, ‘খল নায়ক’, ‘রংবাজ বাদশা’, ‘সুলতান’, ‘বিগবস’, ‘মান্না ভাই’, ‘টপ টেরর’, ‘ভিলেন’, ‘নায়ক’, ‘সন্ত্রাসী মুন্না’, ‘জুম্মান কসাই’, ‘আমি জেল থেকে বলছি’, ‘দশ দরদী’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘জনতার বাদশা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘এতিম রাজা’, ‘টোকাই রংবাজ’, ‘নায়ক’ ইত্যাদি।

এনএটি 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।