নিবন্ধন পেতে ১৪৭টি নতুন দলের আবেদগুলোর প্রাথমিক যাচাই সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে যাদের তথ্যে ঘাটতি আছে তাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে অষ্টম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, দলগুলোর দেওয়া আবেদনগুলোর প্রাথমিক যাচাইয়ের কাজ আজকে সম্পন্ন হয়েছে। যাচাইয়ের পরে যে সকল দলের তথ্য পূর্ণাঙ্গ আছে বা ফরমেট অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে আবেদন জানিয়েছে, সেগুলো মাঠ পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের জন্য চলে যাবে। আর যারা সম্পন্ন করেননি তাদেরকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে আবারও চিঠি দেওয়া হবে। কয়টা দলকে চিঠি দেওয়া হবে তা আগামী কর্মদিবসে জানতে পারবেন।
আইনজীবী প্যানেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের ল’ইয়ারস প্যানেল যেটা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটা করা হয়েছে। ইসি সচিবালয়কে রিভাইজ করার জন্য বলা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনের যারা ল’ইয়ার থাকেন তাদের প্যানেলটাকে রিভাইজ করে হালনাগাদ করতে। এবং আরেকটু শক্তিশালী করার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি।
গত মঙ্গলবার ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইসির বৈঠকের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করেছি। অনেকগুলো বিষয় ছিল। আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল যে উনাদের ওখানে কি কি আলোচনা হচ্ছে এবং এটার জন্য নির্বাচন কমিশনের জন্য কোনো উপাত্ত আছে কিনা। প্লাস আমরাও কোনো কিছু ফিট করতে পারি কিনা। যে কারণে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর আমি এবং আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি গিয়েছিলাম। আমরা ঐক্যমত্য কমিশনের সকল সম্মানিত ভাইস চেয়ার থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। সবকিছু বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এবং আমার মনে হয় যে উই আর অন সেইম পেজ, অ্যাটলিস্ট যেসব কমিউনিকেশনগুলো আমাদের নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার সেগুলো কিছুটা আমরা করতে পেরেছি। আর ভবিষ্যতে কীভাবে কমিউনিকেশনগুলো হবে, বিকজ এখানে তো অনেকগুলো প্যারালাল কাজ হচ্ছে। ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনা করছে তার সঙ্গে আরপিওর সংশোধনী রিলেটেড। আমরা যে আরপিও ড্রাফট করছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্র স্থাপনের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের, সরকার থেকে তরুণদের আলাদা ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, এতে আপনারা বিব্রত বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এখানে তো বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগই নাই। ভোটকেন্দ্রের ম্যানেজমেন্টটা হচ্ছে সহজীকরণের বিষয়। সহজীকরণ যেমন আমাদের নারীদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র থাকে। আমাদের সিনিয়র সিটিজেন, সন্তান সম্ভবা মা, অসুস্থ বা তাদেরকে প্রয়োরিটি দেওয়া হয়। এগুলো তো দেওয়াই হয়। পাশাপাশি যদি আমরা একটা ইয়াং জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য, ভোটের প্রতি যারা বিমুখ হয়ে গেছেন, এ ধরনের যদি কোনো প্রস্তাব থাকে আমরা অবশ্যই বিবেচনা করে দেখব। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনই নেবে।
ইইউডি/এমজে