ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদে খুবিতে শিক্ষার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৫১, জুলাই ১৫, ২০১৮
মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদে খুবিতে শিক্ষার্থীরা খুবিতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান ও কোটা সংস্কারের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ-মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৫ জুলাই) দুপুরে খুবির হাদী চত্বরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আমিনুর রহমান, আশিক রহমান, শরিফুজ্জামান, শেখ সাইফুল ইসলাম, কাঞ্চন কুমার, রিফাত আহমেদ, মাসুদ অাল মোস্তফা, শেখ শুভ, মুক্তা আক্তার, ইয়াছিন আলী, নরোত্তম পল, শেখ নাভিদ প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাশেদ খান। কিন্তু সরকার তাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনকে ব্যাহত করে দেয়। সরকারদলীয় সংগঠন (ছাত্রলীগ) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা রাশেদ খানসহ অন্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে নেয়।

তারা আরও বলেন, আজ যৌক্তিক আন্দোলনে শরিক হওয়া মেয়েরাও নিরাপদ নয়। অপরাধীরা চোখের সামনে ঘুরাফেরা করলেও তারা আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং আমার ভাইদের দ্রুত জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না। রাশেদসহ গ্রেফতার হওয়া সবার দ্রুত মুক্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান বলেন, আমরা কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে নেমেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা উঠিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে ‘মাদার অব এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমরা আবারও মাঠে নামি। তারপর ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা কর্মীরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে নৃশংস হামলা চালায়। হামলাকারীদের বিচার না করে যারা ভিক্টিম নূর, রাশেদরা আজ বিনা অপরাধে জেলে আছে। তাদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলতে থাকবে।

শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার চাই এবং যারা আমাদের ভাইদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই। হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা না করে বের করে দেওয়ারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।  

এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করতে হবে এবং বাংলাদেশের সব ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।