রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রদের নামে তথাকথিত সমন্বয়ক শিবির নেতা সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মাঈনুদ্দীন, প্রক্টর মাহবুবুর রহমানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনটি মনে করে শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি ঘটনা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, প্রক্টর মাহবুবুর রহমানের ঘড়ি ও প্রায় দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখে, যা প্রশাসনিক কর্তব্য পালনে ব্যাহত হয়েছে।
নেতারা বলেন, এই ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাগত পরিবেশের জন্য এক গভীর হুমকি। শিক্ষক, প্রশাসক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আইনের সীমার মধ্যে থেকেই যে কেউই তার মতামত প্রকাশ বা আন্দোলন করতে পারবে- তা অবশ্যই স্বীকৃত পদ্ধতি কখনোই হিংসা, অবরুদ্ধকরণ বা সম্পত্তি ধ্বংসের দিকে যেতে পারে না।
ইউট্যাবের নেতারা বলেন, ঘটনার অবিলম্বে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সক্রিয় তদন্ত করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবেন যে, ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা হবে না; শান্তি ও আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য সব পক্ষ সচেতন হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অধিকার স্বীকৃত, তবে তা শান্তিপূর্ণ ও আইনি পথে হওয়া উচিত; প্রশাসন ও শিক্ষকরা পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করবেন। প্রশাসনিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে যেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের কাজ নির্বিঘ্নে করতে পারেন।
তারা আরও বলেন, আমরা দাবি করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সহিংসতা ও অশান্তি চলছে তা আজই বন্ধ হোক। বিশ্ববিদ্যালয় একটি অভ্যস্ত স্থান যেখানে শিক্ষা, গবেষণা ও মানসিক বিকাশ ঘটে- সেখানে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন অবৈধভাবে ভয় বা হুমকি দিয়ে কাজ করাতে পারবে না। আমরা ইউট্যাব-এর পক্ষ থেকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার দ্রুত ও সুবিচারমূলক নিষ্পত্তি ও ভবিষ্যতে এমন অবস্থা এড়াতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরবি