পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগের কারণে বিশ্বের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের অন্যতম শীর্ষ পছন্দের দেশ হচ্ছে কানাডা। চলতি বছরে যারা কানাডায় পড়াশোনার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য দেশটির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, ভিসার শর্ত, খরচ ও কাজের সুযোগ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।
এক নজরে দেখে নিন কানাডার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়
কানাডায় রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬ অনুযায়ী, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২৭তম, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২৯তম এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউবিসি) ৪০তম।
বিশেষ করে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগদাতাদের কাছ থেকে ৯৯ দশমিক এক স্কোরের এমপ্লয়ার রেপুটেশন অর্জন করেছে, যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের প্রতি বৈশ্বিক নিয়োগদাতাদের আস্থা প্রকাশ করে। কানাডার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি, যা কানাডার প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের প্রমাণ।
কেন কানাডা শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পছন্দ
আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি, নমনীয় কাজের ভিসা নিয়ম এবং বহুসাংস্কৃতিক পরিবেশের কারণে কানাডা উচ্চশিক্ষা ও বৈশ্বিক ক্যারিয়ার গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে। ২০২৫ সালের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ভিসার আবেদনপ্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতার সম্মুখীন না হতে হয়।
দেশটির স্টাডি ভিসার শর্ত
কানাডায় পড়ার জন্য প্রথমে শিক্ষার্থীদের একটি ডিজাইনেটেড লার্নিং ইনস্টিটিউশন (ডিএলআই) থেকে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ডিএলআই হতে পারে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা স্কুল, যেটি কানাডা সরকারের অনুমোদিত।
আবেদনকারীকে যে ব্যয় বহন করতে হবে তা হলো: টিউশন ফি, জীবনযাপনের খরচ, ফেরার যাতায়াত ব্যয়, কিছু ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সাক্ষাৎকার নিতে পারেন, যাতে শিক্ষার্থীর পড়া শেষে নিজ দেশে ফেরার পরিকল্পনা নিশ্চিত হয়।
কাজের সুযোগ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কানাডায় কাজ করতে চাইলে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের (পিজিডব্লিউপি) জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য শর্তগুলো—
* অন্তত আট মাস মেয়াদি কোর্সে পড়াশোনা সম্পন্ন করতে হবে।
*প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই পিজিডব্লিউপিযোগ্য হতে হবে।
* পড়াশোনার সময় সপ্তাহে অর্ধেক সময়ের বেশি কাজ করা যাবে না।
*শেষ সেমিস্টারে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি নিতে হবে।
* কোর্স শেষের তিন মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
* আবেদন করার সময় বৈধ স্টাডি পারমিট থাকতে হবে।
* কোর্সের ধরন (ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি) এবং প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে পিজিডব্লিউপির মেয়াদ ভিন্ন হতে পারে।
খরচ
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায় কানাডায় পড়ার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। যেমন ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীর টিউশন ফি শুরু পাঁচ হাজার ১৩০ কানাডীয় ডলার থেকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি শুরু ৩৫ হাজার ২০৭ কানাডীয় ডলার থেকে (১ কানাডা ডলার সমান বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৮ টাকা)।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবছরের আনুমানিক খরচ
* আবাসন খরচ: প্রায় ৭৭৯৬.০২ কানাডীয় ডলার
* খাবারের খরচ: প্রায় ৪০৪৩.৮৬ কানাডীয় ডলার
* যাতায়াত খরচ: প্রায় ৮৬৫.১০ কানাডীয় ডলার
* ইউটিলিটি বিল: প্রায় ১৯৯১.৭৫ কানাডীয় ডলার
এএটি