ঢাকা, বুধবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচন

ছাত্রদল-শিবিরের বাগযুদ্ধ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:১৮, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
ছাত্রদল-শিবিরের বাগযুদ্ধ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংগৃহীত ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচন নিয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণের শেষে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে ফলাফল ঘোষণার আগে ঢাবি এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে।

ছড়িয়ে পড়ে এই নির্বাচনে কারা এগিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে ছাত্রদল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভোট কারচুপির। এসব কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুরো এলাকায় থমথমে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

অভিযোগ রয়েছে, বিকেল থেকে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের বাইরে জরো হতে থাকে জামায়েত, শিবির ও বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসব কারণে সন্ধ্যার দিকে ঢাবি এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাত ৯টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন কারনে আগে থেকেই পুরো ঢাবি এলাকায় বাড়তি পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করে চলছে। সন্ধ্যার পরে ঢাবি এলাকায় একটু উত্তেজনা খবর পাওয়া গেছে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত আছে। এছাড়া সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানেও ঢাবির প্রবেশের চারিদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থানে আছেন। কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না ঢাবিয় এলাকায় এলাকায়।

বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, সকাল থেকে আমরা ভোটকেন্দ্রগুলাতে ঘুরেছি। যখনই কোনো কেন্দ্রে গিয়েছি, বিভিন্নভাবে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। আমি প্রার্থী, আমাকেও কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আচরণবিধিতে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে আমাদের এতিমের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে প্রার্থীদের সময় নষ্ট করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী ল যাই হোক, তা মেনে নিতে সব প্রার্থী ও ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হার-জিতের কিছু নেই। আমরা সবাই জুলাইয়ের সহযোদ্ধা ছিলাম। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছি। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আমাদের যাকেই বেছে নেবে, তাকেই মেনে নেব। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর যদি আমরা জোরপূর্বক কিছু চাপিয়ে দিতে চাই, তাহলে হিতে বিপরীত হবে।

 ছাত্রশিবির নেতা সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের ম্যান্ডেট যাকে দেবে, তা মেনে নিতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট মেনে নেব, সবাইকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করছি, যারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছেন, তারা চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসবেন।

এজেডএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।