ঢাকা, বুধবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

সিনেট ভবনে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের বাহাস, প্রশাসনে ‘জামায়াতিকরণের’ অভিযোগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৫, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
সিনেট ভবনে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের বাহাস, প্রশাসনে ‘জামায়াতিকরণের’ অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাহাস হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষ পদে ‘জামায়াতিকরণ’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বিএনপিপন্থী সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম-আহ্বায়কসহ একাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সিনেটের তৃতীয় তলায় আলোচনার কক্ষে ছাত্রদলের একাধিক নেতা উপাচার্যের সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন।

বৈঠকে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোয় অবস্থান নেয়। দলটির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করতে পারেননি।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাইরে থেকে মেয়ে শিক্ষার্থীরা এলো না। বাস কম এলো। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে চাপড় দেন।   

উপাচার্য তৎক্ষণাৎ তাকে বসে যেতে বলেন এবং প্রতিউত্তরে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কম আসার তথ্য শুনিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় গণেশ চন্দ্র রায় চিৎকার করে ওঠেন। তখন উপাচার্য বলেন, আমার সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করে লাভ নেই। এটি একটি সিভিল ডায়লগ, সেকারণে আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের জেরার পর সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে একটি বক্তব্য দেন। তিনি প্রবেশপথে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার বিষয়ে উপাচার্যের কাছে জবাবদিহিতা চান এবং বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং উপাচার্যকে নিতে হবে।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে যারা বসে আছে, তারা জামাতীকরণ হয়ে গেছেন। আমরা মনে করি, তারা জামায়াতে ইসলামী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শঙ্কার কথা জানান।  

পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের কাছে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমার কোনোকালে কোনো সম্পর্ক ছিল না। দ্বিতীয়ত, জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা জড় হচ্ছেন, তা আমাদের জানা ছিল না। জানার পর পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা পূর্ণ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। তৃতীয় বিষয়, ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং; সেখানে সাংবাদিক, বিভিন্ন প্যানেলের পোলিং এজেন্ট এবং সাংবাদিকরা গিয়েছেন। কেন্দ্রগুলোয় সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। এবার সর্বোচ্চ বুথ ছিল। আগাম ঘোষণা দিয়ে আমরা সব কাজ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।  

এফএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।