ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফের চালু হচ্ছে 'খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩১, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ফের চালু হচ্ছে 'খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবারও ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ চালু হচ্ছ বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ তিনি মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো।

তবে বর্তমানে এ অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছি। চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম আবারও শুরু হবে এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে। এর মাধ্যে প্রতিটি পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল প্রতি মাসে পাবে। এতে প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে।

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির স্বচ্ছতা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চাল বিতরণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের অসাদুপায় বা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে।

দেশে বর্তমানে রেকর্ড পরিমাণের কাছাকাছি খাদ্যশস্য মজুত আছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। যার মধ্যে ১০ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন হলো চালের মজুত। এ সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমন মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ লাখ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সংগ্রহ করেছে সরকার। বাকিটা কিছু দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। তাছাড়া মে মাস থেকে বোরো সংগ্রহের কাজের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।

এতো মজুতে পরও কেনো বাজারে চালের দাম বেশি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মজুতের সঙ্গে বাজার দরের কোনো মিল নেই। তবে একটি মৌসুম শেষ হওয়ার পর আরেকটি মৌসুম আসার দুই-এক মাস আগে চালের দাম কিছুটা বেশি থাকে। তাই গত কয়েক দিনে চালের দাম ১-২ টাকা বেশি হয়।

মোটা চালের দাম কতো হলে স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হবে? এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ৪০ টাকা নিচে চালের দাম হওয়া উচিৎ নয়। না হলে কৃষকরা তাদের পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পাবে না। তাহলে ফসল ফলাতে তারা আর আগ্রহী হবে না।

সভায় খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমএসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।