ঢাকা, বুধবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে বৃহস্পতিবার আইসিসিবিতে শুরু হচ্ছে সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৯, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে বৃহস্পতিবার আইসিসিবিতে শুরু হচ্ছে সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব জুলফিকার আলী ভাট।

আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হচ্ছে সাউথ এশিয়া ট্রেড ফেয়ার ২০২৫।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এদিন সকালে এ মেলার উদ্বোধন করবেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব জুলফিকার আলী ভাট। মেলার আয়োজন করেছে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই)। এতে সহযোগিতা করছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।  

জুলফিকার আলী ভাট বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর অংশগ্রহণে এ মেলায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, জেমস ও জুয়েলারি, কসমেটিকস, চামড়াজাত পণ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেনওয়্যার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্রনিক্সসহ নানা ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য ও সেবা নিয়ে মেলায় অংশ নেবে।

তিনি বলেন, এই মেলাটি বিটুবি ম্যাচ-মেকিং সেশন, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সেশন প্রভৃতি কর্মসূচি সার্কভুক্ত দেশসমূহের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জ্ঞান আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি করবে। যা আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভাট বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে, যেটা খুবই জরুরি।  

এবারের মেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সার্ক চেম্বার গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এফবিসিসিআইর মহাসচির মো. আলমগীর বলেন, এই মেলার মাধ্যমে বস্ত্র, ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কৃষি, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের সক্ষমতা এবং বাণিজ্য সম্ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠবে।  

জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।