ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সুপারিশের ভিত্তিতে 'অসংশোধনযোগ্য’ ব্যাক অফিস সফটওয়্যার নতুন সময় সীমা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) কমিশনের ৯৬১তম নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএসই ও সিএসইর অধীনে থাকা ২৯১টি ডুয়েল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে মাত্র ২৪টি ট্রেক হোল্ডার এখন পর্যন্ত সফটওয়্যারটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেছে। অন্যদিকে সিএসইর ৮২টি সিঙ্গেল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে সফটওয়্যার বাস্তবায়ন করেছে ৪২টি।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম ধীরগতির হওয়ায় তাদের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ডিএসইর প্রস্তাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৬টি, ১৫ আগস্টের মধ্যে ১০টি এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে ৩১টি ব্রোকারেজ হাউজকে বাস্তবায়ন শেষ করার সময় দেওয়া হয়েছে। সিএসইর পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে, ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৭টি এবং ৩০ আগস্টের মধ্যে ২১টি ব্রোকারেজ হাউজ যেন বাস্তবায়ন সম্পন্ন করে।
বিএসইসি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আর্থিক লেনদেন, সিকিউরিটিজ সংরক্ষণ এবং বিনিয়োগকারী সম্পর্কিত তথ্য স্বচ্ছ ও পরিবর্তন-অযোগ্য রাখার মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা। বিএসইসি বলছে, এটি বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।
এসএমএকে/জেএইচ