আগামী ছয় মাস বা নতুন অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান অর্থ উপদেষ্টা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরই সিদ্ধান্ত নেবে, কারা এটি পরিচালনা করবে। তবে দরপত্র ডাকা হবে না। এটা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এবং ছয় মাসের জন্য। বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (ওভারফ্লো ইয়ার্ডসহ) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৬ মাস বা নতুন অপারেটর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনার লক্ষ্যে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২ অনুযায়ী কর্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি আসলে আমরা হয় তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো।
উল্লেখ্য, টার্মিনালটি ১৭ বছর ধরে দেশীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে এনসিটি পরিচালনাকারী সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৬ জুলাই। এই টার্মিনালে জেটি আছে পাঁচটি। এই পাঁচ জেটিতে চারটি সমুদ্রগ্রামী জাহাজ ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী একটি জাহাজ ভিড়তে পারে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল। জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো, স্থানান্তরসহ নানা কাজ হয় এই টার্মিনালে।
জিসিজি/এমজেএফ
