জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে প্রতিষ্ঠানটির প্রাঙ্গণে ‘রাজস্ব সংস্কার ঐক্য পরিষদ’র অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার পর পরিষদের সদস্যরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
র্পূব ঘোষণা অনুযায়ী, বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৫ ও ২৬ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবেন আন্দোলনকারীরা।
তারা বলেছেন, আগামী শুক্রবারের (২৭ জুন) মধ্যে প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং পতিত আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে আগামী ২৮ জুন তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে।
যেসব দাবিতে আন্দোলন
ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, চেয়ারম্যানকে অপসারণ, ইতোমধ্যে জারিকৃত ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ সব বদলি আদেশ প্রত্যাহার, নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলি আদেশ জারি বন্ধ করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত না করে বরং বিভাগের মর্যাদায় শক্তিশালী করাসহ রাজস্ব অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর লক্ষ্যে রাজস্ব অধ্যাদেশ সংস্কার বিষয়ক কমিটি বাতিল করে আন্দোলনরত সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করা।
পরিষদের নেতারা এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তাকারী ৪৪ সচিবের তালিকার ৩ নম্বর সচিব’ উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এনবিআরকে অংশগ্রহণমূলক সংস্কার কার্যক্রমে পদে পদে বাধাদানকারী। বর্তমান চেয়ারম্যানের আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মতামত না নেওয়া; আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া; পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচির সমালোচনাকারী ও তুলনামূলক জুনিয়রকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা; নিপীড়নমূলক বদলি; বাইরে থেকে লোক এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং এনবিআরকে বিলুপ্তি করবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন। এর ফলে এনবিআর সংস্কারে তার প্রতি আস্থা রাখা যায় না।
জেডএ/এইচএ/