ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১০ জুন ২০২৫, ১৩ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের তৃতীয় দিনেও চামড়ার বাজারে ধস, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:০০, জুন ৯, ২০২৫
ঈদের তৃতীয় দিনেও চামড়ার বাজারে ধস, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ফাইল ছবি

ঢাকা: ঈদুল আজহায় সারাদেশে এক কোটির মতো পশু কোরবানি হয়। কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া প্রতিবছরের মতো এবারও সংরক্ষণ করা হবে।

এবছর ৮০-৮৫ লাখ চামড়া সংরক্ষণ করা হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সোমবার (৯ জুন) ঈদের তৃতীয় দিন, এদিনও ঢাকায় অনেকেই কোরবানি দিয়েছেন। সেসব চামড়া আসে লালবাগের পোস্তায়। ঈদের দিনের মতো আজও পোস্তায় চামড়া নিয়ে এসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তদাররা দুপুর থেকেই এসব চামড়া কেনা শুরু করেছে। তবে পোস্তায় ফড়িয়া কমলেও কয়েকগুণ বেড়েছে মাদরাসার লোকজনের আনা গোনা। একই সঙ্গে কমেছে চামড়ার দাম ও সরবরাহ।  

সোমবার দুপুরে লালবাগের পোস্তায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদের তৃতীয় দিন দুপুরের পর থেকেই কোরবানির পশুর চামড়া লালবাগের পোস্তায় নিয়ে আসছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চামড়া নিয়ে আসছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনছেন। ছোট ট্রাক, ভ্যানগাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনে চামড়া আনছেন তারা। দরদামে মিললে সেসব চামড়া নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে গুদামে। সকালে খুব বেশি চামড়া না এলেও দুপুর থেকে যেসব চামড়া এসেছে তার মধ্যে কাঁচা চামড়া ৪০০, ৬০০, ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছোট চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। তবে ঈদের দুদিন যেভাবে চামড়া এসেছিল, তৃতীয় দিন সেভাবে চামড়া আসছে না। কেননা তৃতীয় দিন কোরবানি কম হয়। তাই চামড়াও আসে কম। পোস্তায় চামড়া আসার পরে প্রথমে লবণজাত করা হবে। ১০-১৫ দিন পরে এসব চামড়া সাভারের ট্যানারিগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে আজও চামড়ার দাম না পেয়ে রাজধানীর পলাশীর মোড়ে এক ট্রাক চামড়া কে বা কারা ফেলে গেছে কেউ জানে না। গত কয়েক দিনও সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় এভাবে চামড়া ফেলে যেতে দেখা গেছে। অথচ সরকার এ বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে। তাহলে কী বাস্তবতার সম্মুখীন হতে চায় না।

রোববার (৮ জুন) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন লালবাগের পোস্তা পরিদর্শন করে বলেছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। নির্ধারিত দাম কার্যকরে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ দল। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চামড়া ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে আমরা একটি কন্ট্রোল রুম করেছি। সেখানে ২৪ ঘন্টা চামড়া ব্যবস্থাপনা মনিটরিং হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি চামড়ার উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে যেটা লবণ দেওয়া চামড়া। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সেটা বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ও মেইনস্ট্রিমের কিছু মিডিয়াও ভুল তথ্য প্রচার করছে। চামড়া পচে গিয়েছে এমন একটি তথ্য দেখলাম চিটাগাংয়ের রাঙ্গুনিয়ার। একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী ৬২০টির মতো চামড়া নিয়ে এসেছেন, তিনি চামড়াটি সংরক্ষণ উপযোগী করেননি। চামড়াটি আধা পচে গেছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর কারণ অসাধু ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে চামড়ার বাজারে আবারও একটা ধস নামানোর পরিকল্পনা করছে।

পোস্তার এমএস এন্টারপ্রাইজ মালিক মো. মকবুল বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার যেসব গরু কোরবানি হয়েছে, সেগুলোর চামড়া আসতে শুরু করেছে। ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানি কম হয়, তাই চামড়াও কম আসে। তবে এবছর ভালো চামড়া এসেছে। আমাদের কাছে আসা ভালো চামড়া হলে ফেরত দেই না। গত দুদিনে কিছু চামড়া ফেরত গেছে, সেটা ঢাকার বাইরের চামড়া। চামড়াগুলো দেরি করে আনায় নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সোমবারসহ গত দুদিনে আমি প্রায় ২ হাজারটি চামড়া কিনেছি। গত দুদিনের তুলনায় আজকের চামড়া ভালো, তাই দামও ভালো। আজ আমরা ছোট চামড়া ৪০০, মাঝারি ৬০০ এবং বড় ৭০০-৮০০ টাকা দরে কিনেছি। গত দুদিন গড়ে ৫০০-৬০০ টাকায় চামড়া বেচাকেনা করেছি।  

কালাম ব্রাদার্স ট্যানারির কর্মচারী আব্দুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের এখানে চামড়া আসে কম। সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন, এদিনতো আরও কম চামড়া আসছে। বেশিরভাগ চামড়া এখন সাভারে চলে যাচ্ছে। তিনদিনে আমরা আড়াই হাজারের মতো কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছি। গত বছর ছিল আরও বেশি। আজকে গত দুদিনের তুলনায় দাম বেশি।  

যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া থেকে রতন প্রামাণিক ৪০টির মতো লবণযুক্ত চামড়া নিয়ে পোস্তায় এসেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি শুধু ঈদের মৌসুমে চামড়ার ব্যবসা করি। গতকাল ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টির মতো চামড়া কিনেছি ৫০০-৬০০ টাকা দরে। এরপর রাতে লবণ দিয়েছি। আজকে সেই চামড়া পোস্তায় নিয়ে এসেছি। কিন্তু দাম কয় না। ছোট-বড় গড়ে ৫০০ টাকা দাম বলা হয়। সবশেষ ৬০০ বলেছে। কিন্তু আমি ৮০০ টাকা না হলে দেব না। ’ 

রতন প্রামাণিক আরও বলেন, দেখলাম সরকার লবণযুক্ত ঢাকার চামড়া ১ হাজার ৩৫০ টাকা রেট দিয়েছে। তাহলে আমি যে লবণযুক্ত চামড়া এনেছি, সেটা ৬০০ টাকা হয় কীভাবে। সরকার আবার বলে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। আমি যে চামড়াগুলো এনেছি, সেগুলো কেনা, লবণ দেওয়া ও পরিবহণ ভাড়া যোগ দিলে আমরা এক হাজার টাকার ওপরে বিক্রি করতে হবে, নইলে লোকসান হবে। এর কমে বিক্রি করলে ব্যবসাতো দূরের কথা, গাড়ি ভাড়ার টাকাই ওঠে না।

সিরাজ মিয়া নামে একজন ব্যবসায়ী চামড়া নিয়ে পোস্তায় ঘুরছেন। জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ‘ভাই বাজার ভালো না। সরকার বলে একটা, বাস্তবে আরেকটা। ৬০০ টাকার বেশি দাম কয় না। আর দুই ঘণ্টা গেলে বলবে এই চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। তখন দাম আরও কমিয়ে দেবে দাম। এরা সিন্ডিকেট করে দাম দেয়। একজন ৬০০ বলেছে মানে এর উপরে আর কেউ দাম বলবে না! এখন ভাবছি কী করবো। লোকসান দিয়েতো আর ব্যবসা করা যায় না। ’ 

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানি কম হয়, তাই চামড়াও কম। এদিকে ছোট চামড়ার দাম ৪০০ টাকা, মাঝারি চামড়ার দাম ৫০০-৭৫০ টাকা। আর বড় চামড়ার দাম ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবছর চামড়ার দাম গতবছরের মতোই। বৃষ্টির কারণে কিছু চামড়া নষ্ট হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের তৃতীয় দিনও ঢাকা শহর ও এর আশেপাশের কিছু পশু কোরবানি হয়। সে চামড়াটাও সোমবার দুপুর থেকে আসতে শুরু করেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া যত তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে আনবেন, তত ভালো। আমরা আগেও বলেছি, চামড়া কেনার সময় যেন ভেবে-চিন্তে কেনেন তারা। কেননা, চামড়ার মান বুঝে আমরা দাম দেব।

তিনি বলেন, ঈদের দিন দিনের বেলায় যেসব চামড়া এসেছে, সেগুলো ভালো চামড়া। যে কারণে সেগুলোর দাম ১০০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কিন্তু রাত ৯টার পর যে চামড়াগুলো আসে সেগুলোর টেম্পার চলে যায়। আড়তদাররা সেসব চামড়া নিতে চান না। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তখন এভারেজে একটা দাম দিয়ে দেন আড়তদাররা। না হলে তো সেই চামড়াগুলো পচে যাবে। এজন্য বলে চামড়ার দাম কমেছে। আসলে ভালোটার দাম ভালো আর মন্দটার দাম একটু কমই থাকে।  

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৩ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বেশি ছিল। সেবার দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ৮৫-৯০ টাকা। তারপর থেকে বিভিন্ন কারণে চামড়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে চামড়া সড়কে ফেলে ও মাটিতে পুঁতে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে প্রায় ২৪২ কোটি টাকার চামড়ার নষ্ট হয়।

জানা গেছে, সাধারণত বড় আকারের গরুর চামড়া ৩১-৪০ বর্গফুট, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ২১-৩০ এবং ছোট আকারের গরুর চামড়া ১৬-২০ বর্গফুটের হয়। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ঢাকায় মাঝারি আকারের গরুর ২৫ বর্গফুটের একটি লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬২৫ টাকা। পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তার আড়তগুলো কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্যতম বড় জায়গা। সেখানে রোববার ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের গরুর কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৫০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গত ২৬ মে কোরবানি পশুর চামড়ার এই দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২-২৭ টাকা এবং বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির পশুর চামড়া আর পানির দামে কেনার সুযোগ থাকছে না। চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে চামড়ার দামও গত বছরের তুলনায় পাঁচটা প্রতি বর্গফুটে বাড়ানো হয়েছে। কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে সারাদেশের মসজিদ-মাদরাসাগুলোতে বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া দাম নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্তমান সরকার।  

বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখেই অভ্যন্তরীণ বাজারের কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া দামে কেনাবেচা হলে কোনো ধরনের লোকসানের আশঙ্কা থাকবে না। আর প্রতিবছর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে ফেলে দেয় চামড়ার বাজারের সিন্ডিকেট। এজন্য সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে কাঁচা চামড়া তিন মাসের জন্য সরাসরি রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নির্ধারিত দামের বাইরে যারা চামড়া কেনাবেচা করবে কিংবা যারা জাতীয় এই সম্পদ বিনষ্টে কাজ করবে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) আগে-ভাগে নির্দেশনা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কাঁচা চামড়া তাড়াহুড়ো বিক্রি না করে কিছুদিন যাতে সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য লবণের সরবরাহ বাড়ানো হবে। বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে প্রায় আরও ১ লাখ টন লবণ সারাদেশে দেওয়া হবে।  

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবছর পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে কোরবানিযোগ্য ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া ও ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর প্রাপ্যতা রয়েছে। এবছরও ২০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এই চামড়ার ৬০ ভাগের বেশি সরবরাহ মেলে কোরবানির মৌসুমে। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া।  

জিসিজি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।