ঢাকা, সোমবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এখন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে মনোযোগ বেশি জরুরি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪১, মে ১৮, ২০২৫
এখন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে মনোযোগ বেশি জরুরি

চরাঞ্চল ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সময় যে মানুষের হাতে ৫০০ টাকা হাতে থাকতো না। এখন সে লাখ টাকা ঋণ চায়।

মানুষের সাহস ও আয় রোজগারের পথ তৈরি হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো লক্ষ্য নির্ভর উদ্যোগে কারণে।

রোববার (১৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত 'উন্নত আগামীর জন্য ব্যাংকিং ' ( ব্যাংকিং অন এ বেটার টুমোরো) শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার জন্য তার শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তাকে উৎপাদন বা বাজারজাতকরণে সহায়তা করতে হবে। বহুল পরিচিত সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) তহবিল থেকে একটি মানুষকে নগদ কিছু সহায়তার দেওয়ার চেয়ে তার শ্রম লব্ধ উৎপাদন বা সেবার বাজারজাত করণে বাঁধা যদি দূর করা যায় তাহলে সে  বেশি উপকৃত হবে। ইউসেফ বাংলাদেশ, টিএমএসএস, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আয় ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহায়তার বিভিন্ন উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরেন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুায়ন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে  সহায়তা করার বিষয়টি তলে ধরেন।

ইউসেফ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল করিম  বলেন,  বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল উত্তরণে ইতোমধ্যে বৈদেশিক সাহায্য কমে গেছে, উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশের সহায়তার হাত গুটিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ কমে যাওয়া শুরু হয়েছে। ওষুধের মত অনেক ক্ষেত্রে  মেধাস্বত্বর দাম দেওয়ার শুরু হবে। তখন সুবিধা হারাতে হবে, তখন দাম বাড়বে পণ্যের। ওই সময় অনেক মানুষ বেকার হবে। তখন দক্ষ জনশক্তিই হবে ভরসা। দেশের কর্মক্ষম যুব শক্তি আছে এই যুব শক্তিকে  উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে সম্পদে রূপান্তর কতে হবে।

তিনি সরকার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা দুস্থ ও তরুণদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মে নিয়োজিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরেন। এসব জনশক্তি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তিনি মান সম্পন্ন প্রশিক্ষণের জোর দেন।

অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, চিকিৎসা ছিল না, কৃষির উৎপাদন থাকলেও বাজারজাতের ব্যবস্থা ছিল না। সেখানে মানুষের প্রয়োজন নির্ভর উদ্যোগের মানুষ আগের চেয়ে বেশি আয় করছে, স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে, ঘরে বসে সারা দুনিয়ার খোঁজ খবর রাখছে। সোলার প্যানেলের আলো এখন ঘর থেকে বাজার পর্যন্ত চলে গেছে। এতে ব্যবসা বাণিজ্য, উৎপাদন বাড়ছে। এভাবে পিছিয়ে পড়া চর বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে গেছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তা বিটপি দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আয় ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আক্তারুজ্জামান, টিএমএসএস এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা প্রমুখ।

জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।