ঢাকা: দেশের সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে মানসম্মত সেবা ক্রয়ের লক্ষে আউটসোর্সিংয়ের নতুন নীতিমালা করেছে সরকার। তিনটি বিশেষ সেবা এবং ৫টি সাধারণ ক্যাটাগরিতে কাজের সুযোগ পাওয়ারা মাসে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৯৭৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৬৭৩ টাকা করে পাবেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
এ নীতিমালা মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে সেবা সরবরাহকারী এবং সেবাকর্মীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এখানে সেবার ক্ষেত্রে তিনটি বিশেষ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। যেমন : ‘বিশেষ সেবা-১’, ‘বিশেষ সেবা-২’ এবং ‘বিশেষ সেবা-৩’।
নীতিমালা অনুযায়ী, বিশেষ সেবা-১: সোসিওলজিস্ট, প্রকৌশল সেবা, প্রশিক্ষণ সেবা, গবেষণা, ব্যবস্থাপনা সেবা, পরিদর্শন সেবা, আইটি সেবা এবং অনুরূপ সেবার ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ৪২ হাজার ৯৭৮ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ৪০ হাজার ৩০২ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ৩৮ হাজার ৯৬৪ টাকা।
বিশেষ সেবা-২ : প্রকৌশল সেবা (ডিপ্লোমা), প্রশিক্ষণ সেবা (সহযোগী), পরিদর্শন সেবা (সহকারী), ফোরম্যান, বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি চালনা, টেকনিশিয়ান (সহযোগী) এবং অনুরুপ সেবার ক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়ারা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২৮ হাজার ৩৬৯ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ২৬ হাজার ৬৩৬ টাকা। আর অন্যান্য এলাকর জন্য ২৫ হাজার ৭৬৯ টাকা।
বিশেষ সেবা-৩ : প্রশিক্ষণ সেবা (সহকারী), টেকনিশিয়ান (সহকারী), গবেষণা এবং অনুরূপ সেবার ক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়ারা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২২ হাজার ৫৯৮ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ২১ হাজার ২৭৯ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ২০ হাজার ৬২০ টাকা।
এর বাইরে আরও ৫টি সেবার ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১ হলো: ড্রাইভার (হেভি), সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, ওয়ার্ড মাস্টার, ইলেকট্রিশিয়ান, লিফট মেকানিক, এসি মেকানিক, পাম্প মেকানিক, জেনারেটর মেকানিক, অন্যান্য কারিগরি কাজসংক্রান্ত টেকনিশিয়ান এবং অনুরূপ কাজের সেবা। এ ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ২০ হাজার ২১২ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৯ হাজার ৮০ টাকা। আর অন্যান্য এলাকর জন্য ১৮ হাজার ৫১৪ টাকা।
ক্যাটাগরি-২ এ ড্রাইভার (লাইট), স্যানিটারি মিস্ত্রি (প্লাম্বার মিস্ত্রি), রাজমিস্ত্রি (ম্যাসন), কাঠমিস্ত্রি (কার্পেন্টার), রংমিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, এয়ারকন্ডিশন অপারেটর, জেনারেটর অপারেটর, ওয়ারম্যান, ওয়েন্ডার, মিটার রিডার এবং অনুরূপ কাজের জন্য নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৯ হাজার ৬৩৬ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৮ হাজার ৫৪০ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ৯৯২ টাকা।
ক্যাটাগরি-৩ এ সহকারী ইঞ্জিন মেকানিক, টেন্ডল, গ্রিজার, টেইলর, ডুবুরি এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৯ হাজার ২৩৬ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৮ হাজার ১৬৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ৬৩০ টাকা।
ক্যাটাগরি-৪ এ লন্ড্রি অপারেটর, ফরাশ জমাদার, সহকারী ইলেকট্রিশিয়ান, সুকানী, বাবুর্চি (কুক), গার্ডেনার (বাগানকর্মী), দক্ষ শ্রমিক এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৮ হাজার ৬৬০ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৭ হাজার ১০৮ টাকা।
আর ক্যাটাগরি-৫ এ সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তা প্রহরী), ক্লিনার (পরিচ্ছন্নতা কর্মী), সহকারী গার্ডেনার, ইলেকট্রিক্যাল হেলপার, কার্পেন্টার (কাঠমিস্ত্রি) হেলপার, স্যানিটারি হেলপার, পাম্প হেলপার, গাড়ির হেলপার, এসি মেকানিক হেলপার, চৌকিদার, ল্যাব এটেনডেন্ট, ওটি এটেনডেন্ট, ইমার্জেন্সি এটেনডেন্ট, স্ট্রেচার বেয়ারার, ওয়ার্ড বয়, আয়া, সহকারী বাবুর্চি, লিফটম্যান, লাইনম্যান, ফরাশ, লস্কর, মেশোন হেল্লার, ম্যাসেন্জার, মশালচি, এনিমেল এটেনডেন্ট, গেস্ট হাউজ এটেনডেন্ট, হোটেল এটেনডেন্ট, ডোম, বাইন্ডার, অদক্ষ শ্রমিক এবং অনুরূপ কাজের সেবার জন্য নিয়োগপ্রাপ্তরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাসিক ১৮ হাজার ১৮০ টাকা পাবেন।
চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার ক্ষেত্রে পাবেন ১৭ হাজার ১৭৫ টাকা। আর অন্যান্য এলাকার জন্য ১৬ হাজার ৬৭৩ টাকা।
আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো পদ সৃজনের প্রয়োজন হবে না এবং বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত শূন্যপদসহ কোনো পদের বিপরীতে এ সেবা ক্রয় করা যাবে না। কোনো সেবা ক্রয়কারীর কার্যালয়ে আউটসোর্সিংয়ের জন্য চিহ্নিত কোনো সেবার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও সরকারি স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকলে কিংবা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষ বা বিশেষায়িত সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকি বিদ্যমান হলে, এরূপ সেবার ক্ষেত্রে সেবা ক্রয়কারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে আউটসোর্সিং নীতিমালার আওতাবহির্ভূত রাখা যাবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সেবাকর্মীর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা থাকতে হবে এবং আগ্রহী সেবাকর্মীর বয়সসীমা ১৮-৬০ বছর হবে। সেবা ক্রয়কারী আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ এর আলোকে সেবা সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অর্থ বিভাগ অনুমোদিত কোনো বিশেষায়িত সরকারি প্রতিষ্ঠান হতেও সেবা ক্রয় করা যাবে।
এছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতি নিয়ে সরাসরি ব্যক্তির সেবা ক্রয় করা যাবে এবং যেসব কাজে নারী সেবাকর্মীদের সম্পৃক্ত করলে অধিকতর সেবা পাওয়া যাবে সেসব কাজে নারী সেবাকর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
অফিস সহায়ক ও টিওএন্ডইভুক্ত গাড়ির ড্রাইভার ব্যতীত গ্রেড ১৬ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত পদ আউটসোর্সিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য হবে। তবে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের যৌক্তিকতার আলোকে অর্থ বিভাগ অপরিহার্য সেবা বিবেচনায় নিয়ে আউটসোর্সিংয়ের আওতাবহির্ভূত রাখতে পারবে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে হরিজন সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর নিরাপত্তা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের সেবা ক্রয় করতে হবে, তবে সংখ্যা বিবেচনায় আনসার সদস্য পাওয়া না গেলে অন্যান্য সেবা ক্রয়ের ন্যায় নিরাপত্তা সেবা ক্রয় করতে হবে।
এছাড়া সেবাকর্মীর ছুটি, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয় সেবা ক্রয়কারী ও সেবা সরবরাহকারী/ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সেবাকর্মীর সেবামূল্য কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করতে হবে। সেবাকর্মী প্রতি পঞ্জিকা বর্ষে ১৫ দিন ছুটি পাবেন। নারী সেবাকর্মী মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ৪৫ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। সেবাকর্মী দুটি উৎসব প্রণোদনা হিসেবে এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০%) হারে এবং বৈশাখী প্রণোদনা হিসেবে মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০%) হারে প্রণোদনা সেবামূল্য পাবেন।
একই সঙ্গে সেবাকর্মীকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ খাত হতে সেবাকর্মীকে প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সেবাকর্মী প্রতি অর্থবছরে দুই সেট ইউনিফর্ম পাবে এবং সেবাকর্মী ইউনিফর্ম পরিধানপূর্বক দায়িত্ব পালন করবে এবং ইউনিফর্মের ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত খাত হতে নির্বাহ করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ, নিরীক্ষণ ও ডেটাবেজ প্রণয়নসংক্রান্ত কার্যাবলি এবং সেবাকর্মীর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও ব্যবস্থাপনা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সম্পাদন করবে। সেবা ক্রয়কারীর সঙ্গে সেবা সরবরাহকারীর চুক্তি সম্পাদন এবং সেবা ক্রয়কারী-সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবাকর্মীর সম্পর্ক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস, ২০০৮ দ্বারা নির্ধারিত হবে। সেবা গ্রহণের মেয়াদ অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে নির্ধারিত হবে এবং সাধারণত সেবা গ্রহণের মেয়াদ দুই বছর হবে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে এই মেয়াদ হ্রাস/বৃদ্ধি করা যাবে।
সেবা ক্রয়কারীর অনুমোদন ব্যতীত সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেবাকর্মী পরিবর্তন করতে পারবে না। সেবা ক্রয়কারী সুনির্দিষ্ট কারণে যেমন- কর্তব্যে অবহেলা, অসদাচরণ ইত্যাদি বিষয়ে কোনো সেবাকর্মী পরিবর্তন করার জন্য সেবা সরবরাহকারীকে নির্দেশনা প্রদান করতে পারবে। সেবা ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির সঙ্গে যে সেবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, তা ব্যতীত অন্য কোনো সেবায় নিয়োজিত করতে পারবে না।
মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের বাজেটে আউটসোর্সিং সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কোডের বরাদ্দ হতে সেবা ক্রয়কারী আউটসোর্সিং সেবা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত সেবাকর্মীর মাসিক সেবামূল্য ও প্রণোদনা অর্থ বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। সেবা ক্রয়কারী কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সেবাঘন্টা, সেবাকর্মীর সেবা সময় হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া সেবাক্রয়কারীর চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত সময় সেবাদানে নিয়োজিত থাকার প্রয়োজন হলে অর্থ বিভাগের সম্মতিসাপেক্ষে চুক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত সেবামূল্য প্রদেয় হবে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় ক্রয় করা সেবামূল্য সেবাকর্মীর নিজ নামের ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)- এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬,২০২৫
জিসিজি/জেএইচ